চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি লাগোয়া পুকুর শুদ্ধিকরণ করতে গিয়ে বিপাকে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বড়ঞা থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৮-৯টি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ম্যারাথন জেরার পর গত ১৭ এপ্রিল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। জেরা চলাকালীন দু’টি মোবাইল পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেন বিধায়ক। দীর্ঘক্ষণ পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে ওই দু’টি মোবাইল উদ্ধার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার ওই পুকুরটিকেই শুদ্ধিকরণের ডাক দেয় বিজেপি।
[আরও পড়ুন: মৃত ছেলে পুনরায় জীবিত হয়ে ওঠার আশা! দেহ বাড়িতে রেখে দিনভর পুজোপাঠ বাবা-মায়ের]
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বের গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা ওই পুকুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পদ্মশিবিরের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। দায়ের হয় এফআইআর। তাতে নাম রয়েছে বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার-সহ একাধিক স্থানীয় নেতা। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়।