সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারও হাতে মোমবাতি। কারও হাতে 'বিচার চাই' লেখা পোস্টার। মুখে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই বাগুইআটির রাস্তা তখন নারীবাহিনীর দখলে। আর তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের মহিলা কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিক। অতর্কিতে ছন্দপতন। দূর থেকে উড়ে আসা ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত হন পুলিশকর্মী। আক্রান্ত উর্দিধারীর ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গর্জে উঠেছে রাজ্য পুলিশ। "রাতটা কি শম্পারও ছিল না?", সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। গত ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করেন মহিলারা। 'রাত দখল' কর্মসূচি নেন তাঁরা। ওই কর্মসূচির মাঝেই জখম হন পুলিশকর্মী শম্পা প্রামাণিক। মুখ ফেটে যায় তাঁর। কর্মক্ষত্রে এক তরুণী নির্যাতিতা হওয়ার প্রতিবাদে 'রাত দখলে'র মাঝে কেন আরেক নারী কর্মক্ষেত্রেই জখম হবেন, সোশাল মিডিয়া পোস্টে রাজ্য পুলিশের তরফে সে প্রশ্নও করা হয়।
[আরও পড়ুন: যিনি নাচেন, তিনি বন্দুকও চালান! অলিম্পিক শেষে মনুর নজর ভরতনাট্যমে]
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। ওই রাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলে নৃশংস অত্যাচারের শিকার হন তিনি। প্রাণ হারান। পরদিন সকালে সেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকে সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে পথে নেমে আন্দোলনে শামিল হন মহিলারা।