সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওসামু সুজুকি। বয়স হয়েছিল ৯৪। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ২৫ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। প্রসঙ্গত, সুজুকি কর্পোরেশনকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ছোট গাড়ি প্রস্তুতকারকে রূপান্তরিত করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাঁকেই।
১৯৩০ সালের ৩০ জানুয়ারি জাপানের গেরোতে জন্ম তাঁর। ১৯৫৮ সালে সুজুকি মোটর কর্পোরেশনে যোগ দেন তিনি। তখন তাঁর পদবি ছিল মাৎসুদা। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর শোকো সুজুকির পরিবারের সংস্থায় যোগ দেওয়ার পরে সেই পদবি তিনি গ্রহণ করেন। এরপর মাত্র পাঁচ বছরেই দ্রুত উন্নতি করেন। ১৯৬৩ সালে পরিচালক পদে উন্নীত হন তিনি। পরবর্তী দেড় দশকে হয়ে ওঠেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ততদিনে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে সুজুকি মোটরের নাম। ২০০০ সালে অবসর নেওয়ার আগে দুবার সংস্থার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ওসামু সুজুকি। তাঁর আমলেই জেনারেল মোটরস ও ভক্সওয়াগেনের মতো সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে সাফল্যের নতুন মাত্রা অর্জন করে সুজুকি মোটর। প্রসঙ্গত, শোকো ও ওসামু সুজুকির তিনটি সন্তান রয়েছে। তাঁদের পরিবার জাপানের হামামাতসু শহরে বাস করে।
সুজুকির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের পর আটের দশকে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করে ওই সংস্থা। ১৯৮২ সালে ভারত সরকারের সঙ্গে যুগ্মভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় মারুতি উদ্যোগ। আর সেই উদ্যোগের ফলশ্রুতিই মারুতি ৮০০। রাতারাতি ভারতের বাজারে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ছোট্ট গাড়িটি। অচিরেই দখল নেয় গাড়ির দেশীয় বাজার। আজ এদেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি।
তবে ওসামু সুজুকিকে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি তা নয়। জাপানে জ্বালানি-অর্থনীতির পরীক্ষা কেলেঙ্কারির সম্মুখীন হন তিনি। ২০১৬ সালে সিইও পদ থেকে তাঁকে সরে যেতে হয়। কিন্তু তবুও সংস্থার উন্নতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বরাবরই অটুট ছিল।