সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। চিকিৎসার জন্য টাকা চাই। কিন্তু, বহু চেষ্টা করেও টাকার জোগাড় করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত নিজের চার বছরের কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি! পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছে শিশুটি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কনৌজে।
[ নাগাল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় মৃত ১২, বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠাল কেন্দ্র]
উত্তরপ্রদেশের কনৌজ শহরে থাকেন অরবিন্দ বানজারা ও তাঁর স্ত্রী সুখদেবী। ওই দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে। সম্প্রতি ফের অন্তঃসত্ত্বা হন সুখদেবী। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জেলা হাসপাতালে ভরতি করেছিলেন অরবিন্দ। চিকিৎসকরা জানান, সুখদেবীর শারীরিক কিছু সমস্যা আছে। তাঁকে রক্ত দিতে হবে। না হলে বাঁচানো যাবে না। স্ত্রীর জন্য অরবিন্দকে রক্ত জোগাড় করতে বলেছিলেন জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কিন্তু বহু হাসপাতাল ঘুরেও বিনা পয়সায় রক্ত পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। এদিকে টাকা দিয়ে রক্ত কেনার সামর্থ্য ছিল না অরবিন্দর। তাই বাধ্য হয়েই নিজের চার বছরের শিশুকন্যাকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অরবিন্দর স্ত্রী সুখদেবীর বক্তব্য, নিজের সন্তানকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল না। অনেক হাসপাতাল ঘুরেও যখন বিনা পয়সায় রক্ত পাওয়া গেল না, তখন আর কিছুই করার ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই প্রথম সন্তানকে বিক্রির পথে হাঁটেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত অবশ্য আর সন্তানকে বিক্রি করতে হয়নি। বলা ভাল, পুলিশের তৎপরতায় বিক্রি হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে শিশুটি।
স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সন্তানকে বিক্রি করতে চাইছেন এক ব্যক্তি! খবর পাওয়ামাত্রই তৎপর হয় পুলিশ। চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থা তো বটেই, প্রয়োজনে নিজেরাই রক্ত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তিরওয়ারা থানার পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন অরবিন্দ বানজারা।
[ মাসের শুরুতে আদৌ কতদিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক? আসল সত্যিটা জানুন]
The post অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সন্তান বিক্রির চেষ্টা রুখল পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.