সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) পুলিশি (Police) নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ্যে। থানার ভিতরে অভিযুক্তের উপরে অকথ্য অত্যাচার করলেন এক পুলিশ অফিসার। চলতি ভাষায় যাকে বলে ‘থার্ড ডিগ্রি’। যোগীরাজ্যের এই অমানবিক পুলিশি জুলুমের ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কী করে থানার ভিতরে কাউকে এভাবে অত্যাচার করা হল, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। ইতিমধ্যেই সাব ইন্সপেক্টর সন্দীপ কুমার ও কনস্টেবল প্রশান্ত কুমারকে সাসপেন্ড করেছেন মুজফ্ফরনগরের (Muzaffarnagar) সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট।
ঠিক কী দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওয়? শাহপুর থানার অধীনস্থ হারসউলি পুলিশ চৌকির ভিতরে তোলা হয়েছে ভিডিওটি। তাতে দেখা যাচ্ছে, থানার সাব ইন্সপেক্টর এক কনস্টেবলকে নির্দেশ দিচ্ছেন অভিযুক্তের প্যান্ট খোলার জন্য। এরপর তিনি তাঁকে বেল্ট খুলে অকথ্য ভাবে মারতে থাকেন। মারের চোটে যন্ত্রণায় কঁকিয়ে উঠতে দেখা যায় অভিযুক্তকে। বারবার কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার আরজি জানাতে থাকেন। এক অনলাইন নিউজ পোর্টালের রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্তের নাম মোমিন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে আটক করা হয় ভাইবোনদের সঙ্গে ঝামেলার অভিযোগে। তবে সেসম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের পর ফের বৈঠকে রাজি কৃষকরা]
ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এলেও তা দু’মাস আগের। ঘটনার তদন্তভার এখন সুপারিনটেনডেন্ট অতুলকুমার শ্রীবাস্তবের হাতে। ঘটনাটি সম্পর্কে এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ”ভাইবোনদের মধ্যে হওয়া ঝামেলার কারণে আটক করা হয়েছিল তরুণকে। তাঁকে মারধর করছিলেন ওই অফিসার। তদন্ত শুরু হওয়ার পরই তাঁকে ও ওই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনেকেই শিউরে উঠেছেন নির্যাতনের তীব্রতা দেখে। প্রশ্ন উঠেছে, যোগীরাজ্যে পুলিশের ‘অমানবিক মুখ’ নিয়ে। এর আগেও অনেক সময়ই এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন মুজফ্ফরনগরের এই ঘটনা।