শেখর চন্দ্র, আসানসোল: কম্বলকাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন খারিজের পরেই আরও বিপাকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির ঘরনি চৈতালি। শুক্রবার দুপুরে তাঁর ঘনশ্যাম অ্যাপার্টমেন্টে হানা দেন দুই এসিপি-সহ আসানসোল উত্তর থানার ওসি এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ অধিকারিক। কিন্তু বাড়ির দরজায় তালা থাকায় পুলিশ ফিরে যায়। বৃহস্পতিবারই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কম্বল কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ এসেছিল বলেই জানান। নোটিস দেওয়ার পরেও কেন বাড়িতে থাকলেন না জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার।
গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল কর্পোরেশনের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। শুভেন্দু অধিকারী বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান। এরপর কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতে পদপিষ্ট হয়ে নিহত হন ৩ জন। আহত ৬ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন: বাজার থেকে উধাও পিঁয়াজ? বিশ্বজুড়ে তীব্র হচ্ছে সংকট]
আসানসোলে শিবচর্চায় কম্বল বিতরণের সময় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ চৈতালির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬জন শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন।