সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কালীপুজোর (Kali Puja) পরের দিন বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎই বদলে গিয়েছে গোটা ছবিটা। কালীপুজোর রাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত বিরোধী শিবিরের রাজনীতিবিদরাও। সকলের কথায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ বাংলার রাজনীতিতে একটি যুগের অবসান।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ামাত্রই দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেছেন, “সুব্রতবাবুর রাজনৈতিক কেরিয়ার ছিল ঈর্ষণীয়। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখতেন।” দিলীপ ঘোষের গলায় কার্যত একই সুর। সুব্রতবাবুর রাজনৈতিক দক্ষতার প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “অত্যন্ত দক্ষ এক রাজনীতিবিদকে হারালাম।” শেষ কিছুদিন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বহু বছর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikami)। মন্ত্রীর মৃত্যুর খবরে টুইটে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছেন পাশে থাকার।
[আরও পড়ুন: কালীপুজোতেই বঙ্গে শীতের আমেজ, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা নামল ১৮ ডিগ্রির নিচে]
কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন, “ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছিল। বাংলার রাজনীতিতে সচরাচর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতার দেখা মেলে না। ও ভবিষ্যত দেখতে পেত, তাই কখনও সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হত না। অনেকবার তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছি, কিন্তু পরে আবার প্রয়োজনে পাশেও পেয়েছি।” কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী শোকপ্রকাশ করে বলেন, “১ নভেম্বরও কলকাতার পিজি হাসপাতালে গিয়ে দেখা করে এলাম, গল্প করলাম, সে আর নেই ভাবতেই পারছি না। বাংলার কংগ্রেস রাজনীতির ত্রিমূর্তি – প্রিয়, সুব্রত, সোমেন এক এক করে সকলেই চলে গেলেন।”
মন্ত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “বর্ণময় ব্যক্তিত্বের প্রয়াণ। রাজনৈতিক বিরোধিতা ছিল ঠিকই। তবে মানুষ হিসেবে অত্যন্ত সহজ সরল ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কারও সঙ্গে কোনও তীক্ততা ছিল না।” ব্যক্তিগত সম্পর্ক যে রাজনীতির ঊর্ধ্বে, ফের তা প্রমাণিত। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকবিহ্বল গোটা রাজনৈতিকমহল। সকলেই সমবেদনা জানিয়েছেন মন্ত্রীর পরিবারকে।