shono
Advertisement

লকডাউনে অভুক্ত কলকাতার ‘চার্লি’, চা বেচে পেট চলছে বহুরূপী শিল্পীর

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে একটি জায়গা থেকেও ডাক নেই বহুরূপী বেণুর।
Posted: 02:11 PM Nov 01, 2020Updated: 02:11 PM Nov 01, 2020

দীপঙ্কর মণ্ডল: ‘কলকাতার চার্লি’ বেণু দাস। লকডাউনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোনও অনুষ্ঠানে ডাক পাননি। পেট চালাতে তাই উত্তর কলকাতার (Kolkata) ছাতু বাবুর বাজারের কাছে চা বেচেন বহুরূপী বেণু। 

Advertisement

ওড়িশার বালেশ্বরের বেণু সাত বছর বয়সে কলকাতায় পা রেখেছিলেন। শৈশব এবং কৈশোর কেটেছিল এবাড়ি-ওবাড়ি কাজ করে। যৌবনে তিনি নিজে থেকেই বহুরূপীর (Polymorphic artist) কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন মণীষীদের রূপ ধরলেও বেশি জনপ্রিয় হন চার্লি চ্যাপলিনের রূপে। কলকাতা ছাড়িয়ে তাঁর খ্যাতি ছড়াতে শুরু করে বিভিন্ন জেলায়। ক্রমশ রাজ্যের বাইরে থেকেও ডাক আসতে থাকে।

[আরও পড়ুন : নিজের বাড়িতেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রীর]

বেণুর বয়স এখন ৫০। অন্য বছরগুলিতে দম ফেলার সময় থাকত না। কিন্তু গত মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে আজও একটি জায়গা থেকেও ডাক নেই বহুরূপী বেণুর। শুধু বেণু কেন, করোনা আর লকডাউনের মারে হাজারো শিল্পী তাঁদের পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ সবজি নিয়ে বসছেন তো কেউ আবার বাড়ি-বাড়ি ঘুরে মাছ বিক্রি করছেন। অথচ গত বছর পর্যন্ত উৎসবের মরশুমে তাঁদের দম ফেলার ফুরসত থাকত না। 

হাতে কাজ না থাকায় প্রথম দিকে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কলকাতার চার্লি। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া মেডেলগুলি ছিল সম্বল। পকেটে টাকা নেই। দিনের পর দিন অর্ধাহারে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শুরু করলেন চা বিক্রি। হাসিমুখে বেণু জানালেন, “বিক্রি বাটা ভালই হচ্ছে। চা বিক্রির পেশায় না এলে হয়তো রাস্তায় মরে পড়ে থাকতাম। লকডাউন আমাদের মত শিল্পীদের শিল্পসত্ত্বা মেরে ফেলল।”

[আরও পড়ুন : রাজ্যের সুরাপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর, আজ থেকে আরও বাড়ছে বিলিতি মদের দাম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement