দীপঙ্কর মণ্ডল: ‘কলকাতার চার্লি’ বেণু দাস। লকডাউনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোনও অনুষ্ঠানে ডাক পাননি। পেট চালাতে তাই উত্তর কলকাতার (Kolkata) ছাতু বাবুর বাজারের কাছে চা বেচেন বহুরূপী বেণু।
ওড়িশার বালেশ্বরের বেণু সাত বছর বয়সে কলকাতায় পা রেখেছিলেন। শৈশব এবং কৈশোর কেটেছিল এবাড়ি-ওবাড়ি কাজ করে। যৌবনে তিনি নিজে থেকেই বহুরূপীর (Polymorphic artist) কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন মণীষীদের রূপ ধরলেও বেশি জনপ্রিয় হন চার্লি চ্যাপলিনের রূপে। কলকাতা ছাড়িয়ে তাঁর খ্যাতি ছড়াতে শুরু করে বিভিন্ন জেলায়। ক্রমশ রাজ্যের বাইরে থেকেও ডাক আসতে থাকে।
[আরও পড়ুন : নিজের বাড়িতেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রীর]
হাতে কাজ না থাকায় প্রথম দিকে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কলকাতার চার্লি। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া মেডেলগুলি ছিল সম্বল। পকেটে টাকা নেই। দিনের পর দিন অর্ধাহারে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শুরু করলেন চা বিক্রি। হাসিমুখে বেণু জানালেন, “বিক্রি বাটা ভালই হচ্ছে। চা বিক্রির পেশায় না এলে হয়তো রাস্তায় মরে পড়ে থাকতাম। লকডাউন আমাদের মত শিল্পীদের শিল্পসত্ত্বা মেরে ফেলল।”