সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর। এক কিশোরের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পাকিস্তানকে গোলাগুলি থামানোর আবেদন জানানো হল সীমান্তের এপার থেকে। স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা করতে হল, “আমাদের শেষকৃত্যটুকু করে নিতে দিন। গোলাগুলি না থামালে সেটুকুও করতে পারব না ছেলেটার জন্য।”
নিয়ন্ত্রণরেখার কাছের এই এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গুলিবর্ষণ করছে পাক রেঞ্জার্সরা। সেই গুলিতেই মারা যায় ১৬ বছরের তনবীর। পাকিস্তানের তরফে গুলিবর্ষণের তীব্রতা এতই বেশি যে তার মৃতদেহের অন্তিম সংস্কার করতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। গত শুক্রবার তার শেষকৃত্য করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নুরকতে গ্রামের বাসিন্দাদের থমকে যেতে হয় সেই পাক গোলাগুলির জন্য। আগুনে পাক গোলার তীব্রতা সহ্য করার হিম্মত ভারতীয় সেনাবাহিনীর থাকলেও গ্রামের সাধারণ বাসিন্দাদের নেই! তাই শেষ পর্যন্ত স্থানীয় মসজিদ থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে মাইকে ঘোষণা করা হল, ‘আপনাদের গুলিতে একজন মারা গিয়েছে। তার অন্তিম সংস্কারে যোগ দেব আমরা। দয়া করে গোলাগুলি থামান’। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক জেহাঙ্গির মীর।
গত কয়েকদিন ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে নতুন করে তীব্র গুলিবর্ষণ শুরু করেছে পাক রেঞ্জার্স। মাচিল সেক্টরে কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসদমন বাহিনীর তিন সদস্য পাক রেঞ্জার্সের গুলিতে শহিদ হওয়ার পর ভারতও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। সীমান্তের এপারে গ্রামগুলির সাধারণ মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা সুনীল কুমার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত দু’দিনে আচমকাই যেন পাকিস্তানের তরফে আক্রমনের তীব্রতা আরও বেড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, পাক গোলাগুলির জবাব দিতে ভারতও ওই একই ক্যালিবারের গুলি ব্যবহার করছে। ২০০৩ -এ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, অথচ তার পরও অন্তত ৩০০ বার ভারতীয় সীমান্তে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান।
The post এক কিশোরের শেষকৃত্য নিয়ে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী নিয়ন্ত্রণরেখা appeared first on Sangbad Pratidin.