সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন তাঁর ঠিকানা ছিল গ্রামের দুই কামড়ার মাথা গোঁজার ঠাঁই। তাও আবার সরকারি আবাস যোজনায় নির্মিত। সেই বিহারের (Bihar) সবচেয়ে গরিব বিধায়ক আরজেডি (RJD) নেতা রামবৃক্ষ সদা (Ramvriksh Sada) পেলেন তিনতলা সরকারি বাড়ি। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এদিন বিধায়কের হাতে সরকারি বাড়ির চাবি তুলে দেন। চাবি হাতে পেয়ে ঝর ঝর করে কেঁদে ফেলেন রামবৃক্ষ। চোখ মুছে বলেন, “আমি বিহারের সবচেয়ে গরিব বিধায়ক। গরিব যখন কিছু পায় তখনই দিওয়ালি।” ভাইরাল হয়েছে গোটা ঘটনার ভিডিও।
সাম্প্রতিককালে বিহার সরকার বিধায়কদের জন্য সরকারি বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে। তেমনই এক ঠিকানায় ঠাঁই হয়েছে আলাউলির বিধায়ক রামবৃক্ষের। যা পেয়ে কার্যত আবেগের বাঁধ ভেঙে যায় তফশিলি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এই বিধায়কের। তিনি বলেন, “সামান্য প্রাপ্তিযোগ মানেই গরিবের কাছে দিওয়ালি। সেই আমাকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যে বাড়ির চাবি দিয়েছেন, তেমনটা স্বপ্নেও ভাবিনি।”
[আরও পড়ুন: বেকারত্ব দূর করতে মিছিল, আমজনতাকেই পেটাল মুখোশধারী আন্দোলনকারীরা! ভাঙচুর অ্যাম্বুল্যান্সেও]
জীবনের অন্যতম বড় প্রাপ্তির পর লালুপ্রসাদ যাদবকে স্মরণ করেন আরজেডি বিধায়ক। বলেন, “আমি পিছিয়ে পড়া মুসাহার সম্প্রদায়ের প্রিতিনিধি। লালুজি আমাকে তাঁর দলের নেতা করেন।” ২০০৪ সালে ইন্দিরা আবাস যোজনায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় আলাউলির বিধায়ক শিডিউল কাস্ট রামবৃক্ষ সদার। উল্লেখ্য, নব নির্মিত সরকারি বাড়ি দেওয়া হয়েছে মোট ৮ জন বিধায়ককে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা না গেলেও জানা গিয়েছে, হাতে বাড়ির চাবি পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন রামবৃক্ষ সদা।
[আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণ! চণ্ডীগড় মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ সাফাইকর্মীর মেয়ের]
১৯৯৫ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন বর্তমানে ৪৭ বছরের রামবৃক্ষ সদা। ২০০০ ও ২০০৫ সালে লালুর দলের হয়ে ভোটে দাঁড়ান। যদিও দু’বারই হারের মুখ দেখতে হয়। অবশেষ ২০২০ সালে বিধানসভা ভোটে জয় পান। রামবৃক্ষ এক মেয়ে ও পাঁচ ছেলের পিতা। গ্রামের বাড়িতে পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ১২। আগামী দিনে পাটনার বিলাসবহুল সরকারি বাড়িতে উঠে আসবে গোটা পরিবার।