সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আইপিএলে একের পর এক নজির গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। একাধিক ম্যাচে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি রান তুলে ফেলেছিলেন অরেঞ্জ আর্মির ব্যাটাররা। মূলত ব্যাটারদের দাপটেই মেগা টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছয় হায়দরাবাদ। তবে শেষ পর্যন্ত কেকেআরের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। সেই হায়দরাবাদ কোন ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে চলেছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক জল্পনা চলছে।
সানরাইজার্সের রিটেনশন তালিকায় সবার প্রথমেই থাকতে পারে হেনরিখ ক্লাসেনের নাম। গত মরশুমে প্রায় দুশোর কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে ৫৬৭ রান করেছিলেন প্রোটিয়া তারকা। শোনা যাচ্ছে, প্রথম রিটেনশনের জন্য বরাদ্দ ১৮ কোটি টাকার চেয়েও অনেক বেশি অর্থে তাঁকে ধরে রাখতে চাইছেন কাব্য মারানরা। অন্তত ২৩ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করা হতে পারে ক্লাসেনকে। অর্থাৎ অন্য দলগুলোর থেকে কম পার্স নিয়ে নিলামে বসতে হবে হায়দরাবাদ ম্যানেজমেন্টকে।
গত মরশুমের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও থাকবেন হায়দরাবাদের রিটেনশন তালিকায়। ১৮ কোটি টাকায় তাঁকে ধরে রাখা হবে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও রিটেনশনের তালিকায় থাকবেন তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মা। গত মরশুমে ওপেন করতে নেমে তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিং নজর কেড়েছিল ক্রিকেটমহলের। অভিষেকের ওপেনিং জুটি ট্র্যাভিস হেডকেও সম্ভবত রিটেন করতে চলেছে হায়দরাবাদ। গত আইপিএলে ভালো খেলার পর ভারতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে নীতীশ রেড্ডির। এই অলরাউন্ডারকেও ধরে রাখার পথে হায়দরাবাদ।
তবে মেগা অকশন থেকে দল গড়তে ভালোরকম সমস্যায় পড়বে হায়দরাবাদ ম্যানেজমেন্ট। রিটেনশনের অঙ্ক নিয়ে যেসমস্ত জল্পনা ভাসছে তা সত্যি হলে অন্যদের তুলনায় অনেক কম পার্স থাকবে কাব্য মারানের হাতে। সেই সঙ্গে পাঁচটি রিটেনশন করার পরে একটিমাত্র আরটিএম ব্যবহার করতে পারবে তারা। কামিন্সকে রিটেন করলেও ভালো বোলার কিনতে হবে হায়দরাবাদকে। সেই দর কষাকষিতে অরেঞ্জ আর্মি পিছিয়ে পড়বে না তো? উৎকণ্ঠা থাকবে ভক্তদের মনে।