সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৮ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরার পরে আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) বিদ্যুৎমন্ত্রী ভি সেন্থিল বালাজি (V Senthil Balaji)। কিন্তু গ্রেপ্তারির পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভেঙে পড়েন কান্নায়। তাঁর মেডিক্যাল চেকআপ করা হয় এদিন সকালে। আর তখনই ধরা পড়ে তাঁর হৃদযন্ত্রের অবস্থা খুবই জটিল। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে বাইপাস সার্জারির পরামর্শই দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে এদিন বালাজিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাঁর করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাম করানো হয়। আর তাতেই ধরা পড়ে ট্রিপল ভেসেল ডিজিজ অর্থাৎ হৃৎপিণ্ডের রক্তজালকে গুরুতর সমস্যা রয়েছে তাঁর। এই পরিস্থিতিতে সিএবিজি অর্থাৎ করোনা আর্টারি বাইপাস গ্রাফ্ট তথা চলতি কথায় বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এবং সেটাও যত দ্রুত সম্ভব।
[আরও পড়ুন: লুঙ্গি বা নাইটি পরে বাইরে ঘুরবেন না! আবাসনের নয়া পোশাক বিধি ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক]
উল্লেখ্য, স্ট্যালিনের (MK Stalin) ঘনিষ্ঠ সেন্থিলের বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। এর আগে গত মে মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। এরপর মঙ্গলবার সেন্থিলের বাড়ি, তামিলনাড়ুর সচিবালয়-সহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেন্থিলের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই তল্লাশি চালাতে এসেছেন ইডির আধিকারিকরা। তবে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন। অবশেষে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বাড়ি থেকেই। এরপর তিনি কেবল অসুস্থই হয়ে পড়েননি, গাড়িতে শুয়ে রীতিমতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন।
গতকাল, মঙ্গলবার বালাজির বাড়িতে ইডির হানার পরই ডিএমকে (DMK) সুপ্রিমো তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ফুঁসে ওঠেন। তিনি বলেছেন,”মানুষ বিজেপির ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতি দেখছেন।” এরপর বুধবারও একই সুর বজায় রেখে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির এই ধরনের ভয় দেখানোকে ডিএমকে ভয় পায় না।
[আরও পড়ুন: ভাড়া নিয়ে বচসা, যাত্রীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন অটোচালকের!]
বালাজির গ্রেপ্তারির পর ফুঁসে উঠেছেন বিরোধীরাও। প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তীব্র নিন্দা করেছেন এই গ্রেপ্তারির। তাঁর কথায়, ”এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ ছাড়া আর কিছুই নয়, যা বিরোধিতা করলেই মোদি সরকার করে থাকে।” এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাশে দাঁড়িয়েছেন বালাজির। তাঁর অভিযোগ, ‘এভাবে একজন মন্ত্রীর বাড়ি এবং সচিবালয়ে তল্লাশি মেনে নেওয়া যায় না। বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে।’