সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) সন্ত্রাসবাদী হামলা ভেস্তে দিতে তৎপর নয়াদিল্লি। জম্মুতে ড্রোন (Drone) হামলার পর প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো আরও মজবুত করে এবার ১০টি ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ বা ড্রোন বিধ্বংসী হাতিয়ার কিনতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
[আরও পড়ুন: ‘শিব সেনা কখনওই আমাদের শত্রু ছিল না’, হঠাৎই উলটো সুর দেবেন্দ্র ফড়নবিশের গলায়]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ কেনার জন্য ‘লেটার ফর রিকোয়েস্ট’ জারি করেছে বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে ১০টি ড্রোন বিধ্বংসী সিস্টেম কেনা হবে। সেগুলি লেজার রশ্মির উপর ভিত্তি করে তৈরি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন’ হতে হবে। অর্থাৎ লেজার রশ্মি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ড্রোন ধ্বংস করবে ওই হাতিয়ারগুলি। হাতে এলে পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে থাকা বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে ওই হাতিয়ার মোতায়েন করা হবে। বায়ুসেনার দাবি, নয়া ড্রোন বিধ্বংসী হাতিয়ারগুলিকে সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার মতো করে তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ সেগুলিকে গাড়ির উপর বহন করার মতো ব্যবস্থা করতে হবে অস্ত্রনির্মাতাদের।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জম্মুর সেনাঘাঁটিতে বোমা ফেলে সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যায় দু’টি ড্রোন। তারপর লাগাতার তিনদিন উপত্যকায় ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলির আশপাশে ড্রোনের দেখা মেলে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চিনের থেকে বেশি পরিমাণে ড্রোন কিনেছে পাকিস্তান। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পিজ্জা ও ওষুধ সরবরাহ করতে সেগুলি কেনা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যে ড্রোনগুলির সাহায্যে আক্রমণ করা হয়েছিল, সেই ড্রোন আর চিন থেকে কেনা ড্রোন একই কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবমিলিয়ে, জম্মু ও কাশ্মীরে ড্রোনের মাধ্যমে ফের বড়সড় হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। তাই নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক থাকুক, তা চাইছে না ফৌজ।