রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের (Abhijit Sarkar) দেহ হস্তান্তর নিয়ে উত্তপ্ত এনআরএস হাসপাতাল চত্বর। পুলিশের সঙ্গে বচসা-ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হোমগার্ডকে চড় মারেন এক বিজেপি নেতা। যদিও বর্তমানে মৃতদেহ হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সদর দপ্তর হয়ে অভিজিৎ সরকারের দেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা।
গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়। ঠিক তারপরই কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মীকে নৃশংস অত্যাচার করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। বর্তমানে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার অন্তর্গত খুন, গণধর্ষণ, ধর্ষণের মতো বড় ঘটনার তদন্তে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যে একাধিকবার অভিজিৎ সরকারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: WB Primary Tet: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়ে অসন্তোষ, নিয়োগের তথ্য তলব কলকাতা হাই কোর্টের]
এদিকে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিজেপি কর্মীর দেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তরের কথা ছিল। এদিন সকালে এনআরএস হাসপাতালের (NRS Medical College & Hospital) সামনে ভিড় জমান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, দেহ হস্তান্তরে দেরি করা হয়। তার ফলে মেজাজ হারান বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি। পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। মুহূর্তেই তা ধস্তাধস্তির রূপ নেয়। হাসপাতালের মর্গে নিরাপত্তারক্ষার দায়িত্বে থাকা হোমগার্ডকে চড় মারেন তিনি। সেই ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
অশান্তির পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিজেপি সদর দপ্তরে প্রথমে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কাঁকুড়গাছির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বিজেপি কর্মীর দেহ। অভিজিৎ সরকারের নিথর দেহ শেষবার দেখার অপেক্ষায় শোকাতুর পরিজন-প্রতিবেশীরা।