নন্দন দত্ত, সিউড়ি: আবারও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও উপপ্রধানের বিরূদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ল বীরভূমে। রবিবার সকালে দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন উপপ্রধান। দলের উচ্চ নেতৃত্বেকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে খবর।
এদিন সকালে দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েতের পছিয়াড়া ও যশপুর গ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মুন্সি মোজাম্মেল হক ওরফে কাঞ্চন ও উপপ্রধানের পরিমল সৌয়ের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একইভাবে এই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। যদিও তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়েনি। সব গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
[আরও পড়ুন: রান্নাপুজোয় ইলিশের আকাল, মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের, মন ভাল নেই গৃহস্থেরও]
তবে এবারের পোস্টারে সাংসদ শতাব্দী রায় ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে। সোমবার যশপুর পঞ্চায়েতের সালুঞ্চি গ্রামে মিলন মেলায় আসার কথা কাজল শেখের। শনিবার খয়রাশোলের এক সভায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সভাধিপতি। তাই তাঁর আসার ২৪ ঘণ্টা আগেই দলীয় অঞ্চল সভাপতির বিরূদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার এলাকায় অন্য রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছে।
পোস্টারে লেখা রয়েছে, কোনও আলোচনা ছাড়াই অঞ্চল সভাপতি রাজার রাজত্ব এগিয়ে চলছে। মাত্র দুজন মিলে পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। এটার কী কোনও তদন্ত হবে না? অঞ্চল সভাপতি কাঞ্চনের নাম করে আরও লেখা রয়েছে, “একজন গাড়িচালক হয়ে ৮ বছরে গাড়ি, বাড়ি, জমি, জায়গা, খাস জমি নিজের নামে করা। আম বাগান কী করে হয়? শুধুমাত্র স্বজন পোষণের জন্য দলের সংগঠন যে আপনার জন্য শেষ হয়ে যাচ্ছে সেটা কী আপনার দুর্বলতা নয়?” যশপুর পঞ্চায়েতের উপ প্রধান পরিমল সৌ জানান,”আমি এইমাত্র শুনলাম, এখনও দেখিনি। এটা দুষ্কৃতীদের কাজ আছে। দলের উপর নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”