সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “জেনারেল বাজওয়া দা ইয়ার, সিধু দেশ দা গদ্দার” এই পোস্টারেই ছয়লাপ পাঞ্জাবের জলন্ধর শহর। আর সেই পোস্টারে রয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে সিধুর বন্ধু ইমরান খানের শপথ গ্রহণের দিন তোলা সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে সিধুর জড়িয়ে ধরার ছবি। সারা জলন্ধরে এই পোস্টার মারা হলেও কারা কাজটি করেছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
তবে পাঞ্জাব মন্ত্রিসভার সদস্য ও প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধুর নামে এই পোস্টারই প্রথম নয়। গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার অবন্তিপোরায় সিআরপিএফ কনভয়ে জইশ জঙ্গিদের হামলার ফলে শহিদ হন ৪৯ জন জওয়ান। একটি জনপ্রিয় কমেডি শোতে এই হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিধু বলেন, কয়েকজনের জন্য গোটা দেশ বা সেখানকার জনগণকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়।
[পুলওয়ামায় নাশকতার জের, পাক বয়কটের সিদ্ধান্ত সলমনের]
এরপরই গোটা দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। গত মঙ্গলবার পাঞ্জাব বিধানসভায় তাঁর ছবি পোড়ানো থেকে শুরু করে দেশদ্রোহী সিধুকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ারও দাবি করে কেউ কেউ। লাফিয়ে বিধানসভার ওয়ালে নেমে পড়ে সিধুর পদত্যাগ দাবি করেন শিরোমণি অকালি দলের বিধায়করা। এরপর গতকাল থেকে জলন্ধরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়ে “গদ্দার সিধু”-র নামে।
এখানেই শেষ নয়, কমেডির শো-র মঞ্চে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের পক্ষে সওয়াল করার জন্য মুম্বই ফিল্ম সিটিতে তাঁর প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। ফিল্ম সিটির অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে সিধুকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ। পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভারতে কাজ করার উপর নিষেধজ্ঞা জারি করার পাশাপাশি ভারতীয় সিনেমা পাকিস্তানে রিলিজ করা হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই সংগঠনের তরফে।
সিধুর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন অনুপম খের ও মনোজ জোশীর মতো সেলিব্রিটিরাও। বিষয়টিকে আর্বজনা ও রাজনৈতিক কৌতুক বলেও কটাক্ষ করেন তাঁরা।