স্টাফ রিপোর্টার, কাটোয়া: আলুর বীজ বোনার মরশুম পুরোদস্তুর শুরু হয়েছে। কিন্তু ভিনরাজ্য থেকে আলুবীজ আমদানি কম থাকায় সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। যদিও বীজ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এইসময় মূলত পাঞ্জাব থেকে আলুবীজ আমদানি করা হয়। কিন্তু আবহাওয়ার প্রতিকূলতা এবং ভোটের কারণে পঞ্জাব থেকে গাড়ি প্রায় দুসপ্তাহ আসেনি। তাই কিছুটা ঘাটতির মুখে পড়তে হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সরবরাহ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ও মঙ্গলকোটে ব্লকের পশ্চিমাংশে ব্যাপক পরিমাণে আলুচাষ হয়। এছাড়া গুসকরা শহরের আশপাশের এলাকাতেও প্রচুর চাষ হয়। মূলত অজয় নদ এবং কুনুর নদীর পলিমাটি সমৃদ্ধ মঠগুলোতে একচেটিয়া আলু চাষ করা হয়। আর এইসব এলাকার আলুচাষিরা অধিকাংশ গুসকরা শহরের বীজ বিক্রেতাদের কাছে আলুবীজ কেনেন।
গুসকরার এক বীজ বিক্রেতা কাজী আরাফত আবেদিন বলেন, "এলাকার কৃষকদের অধিকাংশই পঞ্জাব থেকে আসা আলুবীজ দিয়ে চাষ করেন। সস্তায় বীজ কেনার জন্য আগে থেকে কৃষকরা বুকিং করে রাখেন। কিন্তু ভোট এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারণে দুসপ্তাহের বেশি সময় ধরে পাঞ্জাব থেকে গাড়ি আসেনি। তবে অধিকাংশ কৃষক বীজ পেয়ে গিয়েছেন। যাঁরা পাননি দুই একদিনের মধ্যেই পঞ্জাবের আলু বীজ পেয়ে যাবেন।" কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বাংলা বছরে অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি সময়েই আলুবীজ বোনার উৎকৃষ্ট সময়। এখনও প্রায় দুসপ্তাহ ধরে বীজ বোনার কাজ চলবে।