প্রণব সরকার, আগরতলা: আমরণ অনশনে বসার এক ঘণ্টার মধ্যে এক ফোন কলে দিল্লি ছুটলেন তিপ্রা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা (Pradyot Manikya Deb Barma)। দিল্লি যাওয়ার আগে অনশন মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রদ্যোৎ সমর্থকদের আশ্বাস দেন, খালি হাত ও খালি পেটে দিল্লি যাচ্ছেন। কিন্তু খালি হাতে ফিরে আসবেন না।
পৃথক তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই সরব প্রদ্যোৎ। নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশ নিয়ে নিজেদের দাবি জোরাল করার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। শেষে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, বুধবার বড়মুড়ায় আমরণ অনশনে বসেছিলেন প্রদ্যোৎ। মঙ্গলচণ্ডী পূজো করে অনশনে বসেন ত্রিপুরার ‘রাজা’। কিছু সময় পর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ফোন আসে। ফোনের ওপারে ছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁকে দিল্লি ডাকা হয় আলোচনার জন্য।
[আরও পড়ুন: শিবকুমারের খেল? সকালের ইস্তফা সন্ধ্যায় প্রত্যাহার বীরভদ্রের ছেলের, হিমাচলে স্বস্তি কংগ্রেসে]
শাহী ফোন পেয়ে প্রদ্যোৎ অনশন মঞ্চে উপস্থিত সমর্থকদের কথা একপ্রকার অমান্য করে দিল্লি ছুটে যান। অনশন মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রদ্যোৎ উপস্থিত সমর্থকদের কাছে জানতে চান, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ডেকেছে, তাঁর যাওয়া কি ঠিক হবে? তখন অনশন মঞ্চে উপস্থিত সমর্থকরা চিৎকার করে জানান, ‘না, তাঁর দিল্লি যাওয়া উচিত হবে না।’ কিন্তু প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা তাঁদের কথা অমান্য করে বলেন, ‘দিল্লি যাওয়া প্রয়োজন। যে ভুল আগে হয়েছে, একই ভুল দ্বিতীয়বার করলে হবে না। সকলকে তিনি অপেক্ষা করার জন্য বলেন।’
[আরও পড়ুন: লোকসভার আগে বিরাট স্বস্তি, ‘জমির বদলে চাকরি’ মামলায় স্থায়ী জামিন রাবড়ি ও লালুর দুই কন্যার]
এর আগে তিনি কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এবার সরকারের ডাক পেয়ে বিজেপির (BJP) সঙ্গে আলোচনার রাস্তাও খুলে দিলেন ত্রিপুরার রাজা। পৃথক তিপ্রা ল্যান্ডের দাবিতে তিনি এই আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন।