সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বাবা-মা দুজনেই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তাঁরা দশম শ্রেণির গণ্ডি পার হননি। এবার নবম শ্রেণিতে ফেল করে বিহারকে উন্নতির দিশা দেখাবেন তেজস্বী।' আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এভাবেই আক্রমণ শানালেন জনসুরজ পার্টির প্রধান প্রশান্ত কিশোর।
বিহারের ভোজপুরে দলীয় সভায় যোগ দিয়ে আরজেডিকে কড়া সুরে আক্রমণ শানান ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তেজস্বীর পরিবারের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'ওদের গোটা পরিবারের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্পষ্ট করে দেয় শিক্ষার অগ্রগতিতে ওদের চিন্তাভাবনা কতখানি সদর্থক। যে ব্যক্তি ক্লাস নাইনে ফেল করেছেন তিনি বিহারকে উন্নত করার রাস্তা দেখাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। যিনি এটাই জানেন না জিডিপি বৃদ্ধি কী জিনিস? সে বলছে কীভাবে উন্নতি হবে রাজ্যের।'
[আরও পড়ুন: বাড়ছে চিনা আগ্রাসন, সমুদ্র নিরাপত্তায় বন্ধুত্বের সেতু বাঁধতে ব্রুনেই চললেন মোদি]
এর পর সরাসরি তেজস্বীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে পিকে বলেন, 'সমাজবাদ কাকে বলে উনি বলতে পারবেন না। আমি প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কোনও কাগজ না দেখে উনি ৫ মিনিট সমাজবাদ কী তা বলুন। যদি বলতে পারেন তবে ওনাকে আমি নেতা হিসেবে মেনে নেব। ১০ দিন সময় দিলাম টিউশন নিয়ে এসে বলুন। গত ৩০ বছর ধরে জামার উপর গেঞ্জি পরা ব্যক্তিদের নেতা বানানো হয়েছে বিহারে। না তাঁরা কোনও কিছু জানেন, না তাঁদের ভাষা জ্ঞান রয়েছে। আমি একবারও বলছি না ডিগ্রি পেলেই সে সর্বজ্ঞানী হয়ে যায়। ডিগ্রি না থাকলেও অনেকে বুদ্ধিমান হয়। কিন্তু এরা সে তালিকায় পড়ে না।'
[আরও পড়ুন: গরু পাচারকারী সন্দেহ, হরিয়ানায় দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে গুলি করে খুন গোরক্ষকদের!]
রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসাবে অবসর নেওয়ার পরে জন সুরজ দল গড়ে রাজনীতির মাঠে নামতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। রাজনীতির দুনিয়ায় পথচলার শুরুতেই গোটা রাজ্যের সবকটি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছেন তিনি। অর্থাৎ ২৪৩ বিধানসভা আসনেই দেখা যাবে জন সুরজের প্রার্থীদের। বিশেষভাবে নারীশক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেই কারণে আসন্ন বিধানসভা ভোটে ৪০ আসনে মহিলা প্রার্থী দিচ্ছে তাঁর দল। তিনি আরও জানান, পরবর্তী ২০৩০ বিধানসভা ভোটে ৭০-৮০ জন মহিলা প্রার্থীকে সামনে আনবে জন সুরজ।