সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার সুর বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার সেই সূত্র ধরেই বর্তমান কংগ্রেস নেতৃত্ব তথা রাহুল গান্ধীকে বেনজির আক্রমণ শানালেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশ নির্বাচনে হেরেছে। এই পরিস্থিতিতে কেউই কংগ্রেসের নেতৃত্বে ঈশ্বর দত্ত উত্তরাধিকার দাবি করতে পারে না। নাম না করে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) তাঁর বার্তা, নেতৃত্ব কোনও ব্যক্তির ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার নয়।
ভোটকুশলীর ইঙ্গিত, কংগ্রেসের (Congress) নীতি এবং আদর্শ প্রয়োজন বিরোধী শিবিরের। কিন্তু নেতৃত্বের দুর্বলতায় গত দশ বছরে ক্রমাগত ব্যর্থ হতে হয়েছে হাত শিবিরকে। তাই পিকের সাফ দাবি, সম্মিলিত বিরোধী শিবিরের নেতা কে হবেন, সেটা ঠিক হওয়া উচিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। বৃহস্পতিবার এক টুইটে তিনি বলেন, “শক্তিশালী বিরোধী শক্তির জন্য কংগ্রেসের নীতি এবং আদর্শ প্রয়োজনীয়। কিন্ত তা বলে নেতৃত্ব কারও ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার নয়। বিশেষ করে সেই সময়, যখন ১০ বছরে ৯০ শতাংশ নির্বাচনে কংগ্রেস হেরেছে। তাই বিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব ঠিক করা উচিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে।”
[আরও পড়ুন: সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদ, সংসদে ফের একযোগে ধরনায় কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীরা]
বস্তুত, বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পরে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতার অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশজুড়ে বিজেপি (BJP) বিরোধী মহাজোট তৈরিতেও সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী তিনিই। তৃণমূলের কমবেশি সবস্তরের নেতাই মমতাকে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের মুখ হিসাবে তুলে ধরার দাবি জানিয়ে আসছেন। একই সঙ্গে তৃণমূল লাগাতার কংগ্রেস নেতৃত্বের দুর্বলতা নিয়ে সরব হয়ে আসছে। উদ্দেশ্য একটাই, জাতীয় স্তরে বিরোধী জোটের নেতৃত্বে তৃণমূলের দাবি আরও জোরাল করা।
[আরও পড়ুন: ইউপিএ নিয়ে মন্তব্যের জের, মমতা সম্পর্কে কৌশল বদল কংগ্রেসের!]
এদিকে, প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের হয়ে একাধিক রাজ্যে কাজ করছেন। বাংলার বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল যে সংগঠন এবং ক্ষমতা বাড়াচ্ছে, তার নেপথ্যেও পিকের (PK) হাত রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এদিন কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণের মাধ্যমে আসলে তৃণমূলের সেই নেতৃত্বের দাবিকেই ঘুরিয়ে সমর্থন করলেন প্রশান্ত কিশোর। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।