সুলয়া সিংহ ও তনুজিৎ দাস: এ যেন চাঁদের হাট। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু থেকে শুরু করে নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশংকর হালদার।একদিকে যখন মঞ্চে তারকাদের খুনসুটি চলছে, তখনই গ্যালারিতে জ্বলছে সবুজ মেরুন মশাল।আকাশ-বাতাস মুখরিত মোহনবাগানের জয়ধ্বনিতে। ক্লাব চত্বরের আকাশে-বাতাসে যেন অমর একাদশের স্মৃতি ভেসে বেড়াচ্ছে।যা যে কোনও সবুজ-মেরুন সমর্থককে আবেগাপ্লুত করতে বাধ্য।আসলে এসবই সম্ভব হয়েছে শুধু একটা আবেগের টানে। তা হল মোহনবাগানিদের সবুজ মেরুন আবেগ। যা এক সাধারণ ক্লাব সমর্থক থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো মহাতারকাকে টেনে এনেছে মোহনবাগান তাঁবুতে।আর এই একঝাঁক তারকার সামনেই দেওয়া হল এবছরের মোহনবাগান রত্ন-সহ একাধিক পুরস্কার।
[আরও পড়ুন: শতবর্ষের আগেই ইস্টবেঙ্গলের আকাশে কালো মেঘ, ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানছে কোয়েস]
পূর্ব ঘোষণা মতোই মোহনবাগান রত্ন পুরস্কার পেলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন হকি তারকা কেশব দত্ত।প্রসূনবাবুকে উত্তরীয় ও স্মারক উপহার দেন ক্লাব সচিব টুটু বোস। প্রসূনবাবু, মোহনবাগানকে, ‘মহান বাগান’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কেশব দত্ত এদিন অনুষ্ঠানমঞ্চে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে, তাঁকে সম্মান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তাঁর বাড়িতে।
মোহনবাগান রত্নের পাশাপাশি এদিনই দেওয়া হল গত মরশুমের সেরা খেলোয়াড়দের পুরস্কার। ২০১৮-১৯ মরশুমে মোহনবাগানের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন অরিজিৎ বাগুই। সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন রাজকুমার পাল। সেই সঙ্গে উৎসাহ বাড়ানোর জন্য ক্রিকেট দলকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে। সেরা অ্যাথলিটের পুরস্কার পেয়েছেন তাপস দে। সেরা যুব দলের শিরোপা পেল মোহনবাগানের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য সম্মানিত করার কথা ছিল মহম্মদ শামিকেও। কিন্তু, তিনি এদিন ক্লাব চত্বরে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁকে পুরস্কার পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সারাজীবনের কৃতিত্বের জন্য জীবনকৃতি পুরস্কার পেলেন অশোক চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল, রবিবারের তিলোত্তমায় লাল-হলুদের জনজোয়ার]
এদিন মোহনবাগানের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয় চুনী গোস্বামী, ভেস পেজ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, এবং দেবশংকর হালদারকে। লাইফ মেম্বারশিপ দেওয়ার সময় অনুষ্ঠান মঞ্চ খোশমেজাজে আড্ডার মঞ্চে পরিণত হয়। পুরস্কারমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লাইভ মেম্বারশিপ প্রাপকদের সকলেই। তবে, শারীরিক অসুস্থতার জন্য মঞ্চে উঠতে পারেননি চুনী গোস্বামী। কিছুটা দেরিতে পৌঁছাবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, “তাঁর ছেলে পেশাদার ফুটবলার হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।” একথা জানার পর দেবশংকর হালদার বলেন,”আমার আশা বুম্বাদার ছেলে ফুটবলার হবে। এবং মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোল করবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে।” একথা বলার পরই হাসির রোল ওঠে মঞ্চে।
The post মোহনবাগান দিবসে ক্লাব তাঁবুতে চাঁদের হাট, পুরস্কৃত হলেন ‘ঘরের ছেলে’রা appeared first on Sangbad Pratidin.