নব্যেন্দু হাজরা: বিলম্বিত বর্ষা (Monsoon)। আজ অর্থাৎ ১ জুন দেশে বর্ষা আগমনের নির্ধারিত দিন হলেও চলতি বছর যথাযথ সময়ে সেই মরশুম শুরু হচ্ছে না। তবে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু বৃষ্টি। বঙ্গেও শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টিপাত। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কয়েকদিন চলবে প্রাক বর্ষার (Pre Monsoon) বৃষ্টি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী ৪৮ ঘণ্টা। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় তেমন বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। বরং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বিহার ও সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির উপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার জেরে দখিনা বাতাস ও দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ুতে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। বঙ্গোপসাগরে এগোচ্ছে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুও। এর জেরেই রাজ্যে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে আগামী অন্তত ৫ দিন চলবে বৃষ্টি (Rain), এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮৫ থেকে ৯৪ শতাংশ। এর জেরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি। সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার, গুমোট আবহাওয়ায। দিনভর আংশিক মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি হতে পারে সামান্য। এদিকে, মে মাসে রেকর্ড বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ আছড়ে পড়ার আগে এবং পরে তিন, চারদিনের বৃষ্টিপাতই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন আলিপুর আবহাওয়া অফিসের কর্তারা।
[আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশে বড়সড় রদবদল, কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে মেদিনীপুরের ডিআইজি]
আবহাওয়াবিদদের হিসেব অনুযায়ী, দিন দুই পরে মৌসুমী বায়ু ঢুকবে কেরলে (Kerala)। তারপর বোঝা যাবে, বঙ্গে কবে বর্ষার প্রবেশ ঘটবে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে আরও সক্রিয় হবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। তার প্রভাবে আগামী চার থেকে পাঁচ দিন পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, মেঘালয়, মনিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশে চলবে বৃষ্টি।