সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ। পরে সে কথা জানাজানির ভয়ে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ঝাড়খণ্ডে দুমকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দুমকায় এক নাবালিকার গায়ে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। পরপর এধরনের ঘটনায় কংগ্রেস এবং জেএমএমশাসিত ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
দুমকায় (Dumka) নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করত ওই আদিবাসী নাবালিকা। দুমকার শ্রীমদার গ্রামে আত্মীয়দের সঙ্গে থাকত সে। কাজের সূত্রেই অভিযুক্তর সঙ্গে আলাপ হয় নাবালিকার। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে নাবালিকার উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল আরমান আনসারি। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেই তাকে গাছে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় আনসারি। শুক্রবার নিজের গ্রামেই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘TET নেবেন না, আত্মহত্যা করব’, নিয়োগ তৎপরতা শুরু হতেই পর্ষদ সভাপতিকে হুমকি উত্তীর্ণদের]
এ প্রসঙ্গে দুমকার পুলিশ আধিকারিক সুদর্শনপ্রসাদ মণ্ডল জানান, অভিযুক্ত আরমান আনসারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে। আনসারির বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেণ বলেন, দুমকার এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুমকার পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছি। মৃত নাবালিকার আত্মার শান্তিকামনা করছি। মৃতের পরিবারকে শক্তি দিক।” এদিকে এই ইস্যুতে ঝাড়খণ্ড সরকারকে বিঁধেছে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। বলেন, “রিসর্ট রাজনীতি থেকে সময় পেলে ঝাড়খণ্ডে দিকে মন দিন (মুখ্যমন্ত্রী)।”
প্রসঙ্গত, গত মাসে বন্ধুত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ‘শাস্তি’স্বরূপ ১৬ বছরের তরুণীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় ওই যুবক। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াই করেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ হারায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকা। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মৃতার বাবা।