সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সাহিত্যে সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলির মধ্যে ধরা হয় ‘গোদান’কে। এর স্রষ্টা মুন্সি প্রেমচাঁদকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর জন্মদিনে গুগল গোদান অবলম্বনে ডুডল বানিয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এমন এক উপন্যাস অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। সেজন্য এই মন্ত্রকের শিক্ষা শাখা কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থানের সিলেবাস থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলল এই উপন্যাসকে।
[চিনকে ছাপিয়ে এশিয়ার ‘সুপারপাওয়ার’ হয়ে ওঠার পথে এগিয়ে ভারতই]
মুন্সি প্রেমচাঁদের ‘গোদান’ প্রকাশ হয়েছিল ১৯৩৬ সালে। গরু ছিল এই উপন্যাসের মূল বিষয়। হিন্দু ধর্মে যাকে পবিত্র পশু হিসাবে মানা হয়। উপন্যাসে তৎকালীন সময়ের দেশের কৃষকদের দুর্দশার ছবি তুলে ধরা হয়েছিল। কীভাবে ঋণের চাপে জর্জরিত প্রান্তিক এলাকার কৃষকদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছিল। যেখানে দেখানো হয়েছিল গরু দান পুণ্যের বিষয়। প্রেমচাঁদের গল্প বলা হয়েছিল গো-দানে পাপ স্খলন হয়। এই উপন্যাস বহু ভাষায় অনুদিত হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থান নামে ওই শিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা মনে করছে প্রেমচাঁদের প্রয়োজন নেই। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সে এই উপন্যাস আর না পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এর সাফাই দিতে গিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন ওই সংস্থার আধিকারিকরা। বীণা শর্মা নামে এক আধিকারিক জানান, মুন্সি প্রেমচাঁদের এই উপন্যাস এখন আর পড়ার প্রয়োজন নেই। কারণ এটি অনেক বড় উপন্যাস। এক বছরেও তা শেষ করা যাচ্ছে না বলে পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন। এমনকী বিদেশিরাও পড়তে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন। গোদান বাদ দেওয়ায় পর মুখরক্ষায় প্রেমচাঁদের অন্য একটি উপন্যাসকে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
[জানেন, স্মার্টফোন চলে আসায় কোন কোন গ্যাজেট হারিয়ে গিয়েছে?]
দুনিয়া জুড়ে হিন্দি ভাষার প্রমোশনে কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের এই সিদ্ধান্তে দেশের শিক্ষামহলে হইহই পড়ে গিয়েছে। হিন্দি লেখক মঙ্গলেশ দরবালের বক্তব্য এভাবে ইতিহাসকে চাপা দিতে পারবে না কেন্দ্র। কারণ গোদান এতটাই জনপ্রিয় যে ১৯৬৩ সালে এই নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছিল। ২০০৪ সালে গুলজার এই নিয়ে ২৬ পর্বের সিরিয়াল বানিয়েছিলেন। বর্তমান প্রজন্মকে গোদান থেকে যাতে বঞ্চিত না করা হয় তার জন্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বেশ কিছু হিন্দি সাহিত্যিক এবং কবি।
The post এবার সিলেবাস থেকে বাদ পড়ল মুন্সি প্রেমচাঁদের ‘গোদান’ appeared first on Sangbad Pratidin.