অর্ণব আইচ: জেলের মধ্যে এক বন্দির কান কামড়ে ছিঁড়ে ফেলল অন্য বন্দি। সেই কাটা কানের অংশ আবার বরফের মধ্যে রেখে হাসপাতালে ছুটলেন কারারক্ষীরা। সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত বন্দিকেও নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। রাত পর্যন্ত হাসপাতালে চলে কানের অস্ত্রোপচার। রবিবার বিকেলে কলকাতার (Kolkata) প্রেসিডেন্সি জেলে ঘটল এই ঘটনা। যা ঘিরে দেখা দিয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যে জেলের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতার হেস্টিংস থানাকেও জানানো হয়েছে এই তথ্য।
পুলিশ ও কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রেসিডেন্সি জেলের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের ‘কনভিক্ট ওয়ার্ডে’ই ঘটে এই ঘটনাটি। এখানেই একই ওয়ার্ডে ছিল দুই সাজপ্রাপ্ত বন্দি মহম্মদ গোলাপ ও মহম্মদ সুলতান। গোলাপের সঙ্গে সুলতানের গোলমাল লেগেই থাকত। এদিন বিকেলে সেই গোলমাল চরমে ওঠে। তখনও লকআপে যায়নি বন্দিরা। তার আগেই ওয়ার্ডের বাইরে দু’জনের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। তার পর শুরু হয় মারপিট। অন্য বন্দিরা কারারক্ষীদের জানিয়েছে যে, হঠাৎই গোলাপ নামে ওই বন্দি সুলতানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অন্যরা ছুটে আসার আগেই গোলাপ সুলতানের কান কামড়ে দেয়। ছিঁড়ে নেয় সুলতানের কানের অংশ। রক্তাক্ত অবস্থায় যন্ত্রণায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সুলতান। খবর পেয়েই ছুটে আসেন কারাকর্তারা। অভিযুক্ত গোলাপকে আলাদা সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: অর্থদপ্তরে সেই অমিত মিত্রই, মমতার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে একাধিক নতুন মুখ]
এদিকে, একটুও দেরি না করে কেটে নেওয়া কানের অংশটি কুড়িয়ে নেন কারারক্ষীরা। খবর পেয়ে আসেন প্রেসিডেন্সি জেলের চিকিৎসকরাও। তাঁদের পরামর্শে বরফের ভিতর রেখে দেওয়া হয় কানের ওই অংশ। জেলের চিকিৎসকরা সুলতনের প্রাথমিক চিকিৎসা করেই তাকে নিয়ে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। সঙ্গে বরফের মধ্যে করে নিয়ে যাওয়া হয় কানের ওই অংশ। কারা সূত্রের খবর, রাত পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে ওই কানের অংশ জোড়া লাগানোর চেষ্টা হয়। কখনও খাওয়াদাওয়া, আবার কখনও বেআইনি মোবাইল ফোন রাখা ও অন্যান্য কারণেও বন্দিদের নিজেদের মধ্যে গোলমাল বাধে। কী কারণে গোলাপের সঙ্গে সুলতানের গোলমাল বেঁধেছিল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কারা দপ্তর।