ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রথযাত্রার দিনে রাষ্ট্রপতি ভোট (Presidential Polls) নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, “বিজেপি আগে জানায়নি, তাঁরা এক আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করছে। তাহলে অন্যভাবে ভাবতাম।” একথাও বললেন যে, দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
শুক্রবার দুপুরে রথযাত্রা উপলক্ষে কলকাতায় ইসকনের মন্দিরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নুসরত জাহান-সহ অন্যান্যরা ছিলেন তাঁর সঙ্গে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি ভোটে সহমতে প্রার্থী না হওয়ার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করলেন তিনি। মমতার দাবি, বিজেপি প্রার্থীর নাম নিয়ে আগে আলোচনা করলে সহমতের ভিত্তিতে প্রার্থী দেওয়া সম্ভাবনা ছিল। তিনি বলেন, “বিজেপি যে আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করবে সেটা আমরা আগে জানতাম না। আমি আদিবাসী, দলিত সবাইকে সমর্থন করি। আমার অন্যরকম সেন্টিমেন্ট কাজ করে। NDA-যে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করবে সেটা আগে জানলে অন্যভাবে ভাবতাম।”
[আরও পড়ুন: কথা দিয়েও বাড়ি ফেরা হল না, মণিপুরের ভূমিধসে মৃত্যু বাংলার জওয়ানের]
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিরোধী ঐক্যের সঙ্গেই রয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “বিরোধী দলগুলি মিলে একটা সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। ফলে সবাই না বললে একা ফিরে আসা সম্ভব নয়।” মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোটের সরকার পড়ে যাওয়ার পর সংখ্যার বিচারে দ্রৌপদী মুর্মু যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন, এই বাস্তব সত্য অনুধাবন করতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে ছাড়েননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বলেন, “সুযোগ বুঝে পালটি খাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে ওড়িশার এক আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী। প্রথমে পেশায় ছিলেন শিক্ষিকা। তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। রায়রাংপুরের জেলা বোর্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। এরপর দু’বার বিধায়কের আসনে বসেন। নবীন পট্টনায়কের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন তিনি। এরপর ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসাবে গত বছর পর্যন্ত কাজ করেন মুর্মু। চমক দিয়ে এবার আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মুর নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি (BJP)। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)।