সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল কর্নাটক রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এহেন পরিস্থিতিতে ভাবমূর্তি থেকে কালির দাগ মুছতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে শাসকদল কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে, হাই কমান্ডের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হতে পারে সিদ্দারামাইয়াকে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছে ২ নাম।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, কর্নাটকের সাম্প্রতিক পরিস্থিতকে নজরে রেখে সিদ্দারামাইকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ রাহুল গান্ধী। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিদ্দারামাইয়া নিজেও। বৈঠকের নির্যাস অনুযায়ী, নিজেকে নির্দোষ না প্রমাণ করা পর্যন্ত পদে থাকতে রাজিও নন সিদ্দারামাইয়া। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে ২টি নাম সামনে আসছে যারা হলেন, উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার ও ওবিসি মুখ হিসেবে পরিচিত পূর্ত মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি।
[আরও পড়ুন: সিকিমের পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাস খাদে পড়ে মৃত ৪ জওয়ান]
সূত্রের খবর, সিদ্দারামাইয়া সরলেও শিবকুমারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বড়ই কম। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ওবিসি ভোটকে পাখির চোখে করে একের পর রাজ্যে কোমর বাঁধতে শুরু করেছে কংগ্রেস। সেদিক থেকে সতীশের সামনে সম্ভাবনার দরজা খুলে যেতে পারে। জল্পনার মাঝেই বৃহস্পতিবার দিল্লি রওনা দিয়েছেন সতীশ। জানা যাচ্ছে, সিদ্দারামাইয়ারও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সতীশ। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও চান সতীশকে দায়িত্ব দিতে। অবশ্য কর্নাটকে নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন শিবকুমার। খোদ রাহুল গান্ধী তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। শেষে সোনিয়ার অনুগ্রহে মুখ্যমন্ত্রী হন সিদ্দারামাইয়া।
[আরও পড়ুন: মাদক খাইয়ে ১৯-এর তরুণীকে গণধর্ষণ! রাজস্থানে গ্রেপ্তার ৪]
তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার এক বছরের মধ্যেই গুরুতর অভিযোগ ওঠে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। ৩ জন আন্দোলনকারী রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিদ্দারামাইয়া নথিপত্র বদলে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ বা মহীশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে মহার্ঘ প্লট সস্তায় পাইয়ে দিয়েছেন। এরফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন। এর জেরে কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে চাপ বেড়েছে কংগ্রেসের। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর দেশের একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় হাত শিবির।