নিরুফা খাতুন: আবহাওয়া অফিস স্বস্তি দিলেও জামাইষষ্ঠীর বাজার কিন্তু স্বস্তি দিচ্ছে না বাঙালিকে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বাজারদর আগুন। দিন কয়েক আগে ১০০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বিক্রি হয়েছে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে সেই দাম আজ থেকে আকাশ ছুঁয়েছে। কলকাতায় ৭৫০ থেকে ১৬০০ টাকায় ইলিশ মিলছে। চারশো-পাঁচশো গ্রামের ইলিশ মিলছে হাজারের মধ্যে। এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশের দাম দেড় থেকে দু-হাজার টাকা।
দর হাকাচ্ছে ভেটকি, চিংড়িও। একটা দিন জামাইকে গুছিয়ে খাওয়াবেন, আর পাতে ভেটকির পাতুরি বা কাটলেট থাকবে না, তা হয় নাকি? এক কেজির ভেটকি এখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা যাচ্ছে। গলদা চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট ও মাঝারি আকারের চিংড়ির দাম ৮০০-১০০০ টাকা কেজি। পাবদার দাম ৪০০ টাকা। রুইয়ের প্রতি কেজির দাম ২২০ টাকা। প্রতি কেজি কাতলা মাছের দাম এখন ৪০০ টাকা। মাছের পাশাপাশি মাংসেরও চড়া দাম। চিকেনের এক কেজির দাম ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। মটন ৮২০ টাকা কেজি।
[আরও পড়ুন: জেলে গিয়ে কুন্তলকে CBI জেরা, জবাবে প্রচুর অসঙ্গতি, প্রশ্ন এড়ানোর চেষ্টা!]
জামাইষষ্ঠীতে ফল বাজারও মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে। আম, লিচু, তালশাঁস সবের দামই আকাঁশছোঁয়া। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে সবজির বাজার যেন সবথেকে বেশি চড়া। পটলের কেজি কয়েকদিন আগেই ছিল ৪০ টাকা। কিন্তু সেই দাম বেড়ে এখন হয়েছে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। ঢেঁড়সের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। মাস খানেক আগে ঢেঁড়সের প্রতি কেজির দাম হয়েছিল ৮০টাকা। সেই দাম গত ১৫ দিন আগে নেমে হয়েছিল ৪০ টাকাতে। এখন দাম ফের একবার বেরে ৫০ টাকা প্রতি কেজি হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে জামাইষষ্ঠীর বাজারে মূল্যবৃদ্ধির গুঁতো।