বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: প্রেমিকের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে ধর্ষণের পর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। নির্যাতিতার পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারল না পরিবার। নির্দিষ্ট সময়ে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছলেন না পুরোহিত। পরিবারের দাবি, হুমকি দেওয়া হচ্ছে পুরোহিতকে। সে কারণেই নির্দিষ্ট সময়ে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছননি তিনি।
গত ৪ এপ্রিল প্রেমিকের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে সে। পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। ভোররাতে মৃত্যু হয় তার। দেহ তড়িঘড়ি দাহও করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার ছেলে সোহেল গোয়েল তাকে ধর্ষণ করে। তারাই কিশোরীর দেহ ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করে দেয়। এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: রাস্তায় দাঁড়িয়েই শিশুকে পড়াতে ব্যস্ত কলকাতার ট্রাফিক সার্জেন্ট! ভাইরাল ‘শিক্ষক পুলিশ’]
এদিকে, হাঁসখালি কাণ্ডের তদন্তভার পাওয়ার পর থেকেই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার গভীর রাতে সিবিআইয়ের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল হাঁসখালি থানায় যায়। ওই প্রতিনিধি দু’জন মহিলা সদস্যও ছিলেন। হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সোহেল গোয়েল এবং প্রভাকর পোদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাদের জেরা করে এই ঘটনা সংক্রান্ত আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন ভোরে সিবিআই হাঁসখালির অস্থায়ী ক্যাম্পে চলে যায়। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে সিবিআইয়ের আরও একটি প্রতিনিধি দল এদিন হাঁসখালিতে যায়। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যদের নির্যাতিতার গ্রামে যাওয়ার কথা। তাঁরা কথা বলবে কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষেরও হাঁসখালিতে যাওয়ার কথা।