গোবিন্দ রায়: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Primary TET Scam) জের! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত ড. মানিক ভট্টাচার্য। সোমবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর দু’টোর মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। বিচারপতি কিছু প্রশ্ন করবেন, সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে তাঁকে।
আপাতত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। তবে এই পদে অন্য কাউকে নিয়োগ করতে পারবে রাজ্য সরকার। এই পদে কাকে নিয়োগ করা হবে, তা এখনও রাজ্যের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপাল নন, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদেও মুখ্যমন্ত্রী! মন্ত্রিসভায় গৃহীত প্রস্তাব]
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু আসল নথি চেয়েছিল আদালত। অভিযোগ, সেই নথি পেশ করেনি পর্ষদ, উলটে আদালতকে ভুল পথে চালনা করেছে। যার সম্পূর্ণ দায় মানিক ভট্টাচার্যের, মন্তব্য আদালতের। বিচারপতি আরও বলেন, “আজকে ২৭৮৭ জন আবেদনকারীদের মধ্যে ১ জনেরও নম্বর পুণর্মূল্যায়নের জন্য দাখিল করা আবেদনপত্র আদালতে পেশ করা হয়নি। পর্ষদের এই আচরণ গ্রহনযোগ্য নয়।”
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে অপসারণের পাশাপাশি, আদালতে পেশ করা নথি দিল্লিতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। আদালতের সামনে পেশ করা ২৭৮৭ জনের নাম এবং রোল নম্বরের তালিকা, নম্বর পুনর্মূল্যায়নের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির সদস্যদের নাম এবং গঠনের দিন সংক্রান্ত নথি, এই বিশেষ কমিটির রিপোর্ট, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত এবং বোর্ডের অনুমোদন সংক্রান্ত নথি গুলির প্রিন্ট আউট কবে নেওয়া হয়েছে এবং তাতে যে স্বাক্ষরগুলি রয়েছে সেগুলিই বা কবে করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে দিল্লি ফরেনসিক। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত পর্ষদ এবং বিশেষ কমিটির বিভিন্ন নথি এখনও এত স্পষ্ট এবং উজ্জ্বল কীভাবে রয়েছে, সে বিষয়ে এই আদালত সন্দিহান। তাই ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: স্কুলে গরমের ছুটি কি আরও বাড়বে? জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রশ্ন কলকাতা হাই কোর্টের]
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২৬৯ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালে একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে আরও একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেই প্যানেলেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পরীক্ষা না দিয়েই মিলেছে চাকরি। হাই কোর্টের নজরদারিতে মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।