গোবিন্দ রায়: ২০২২ সালের প্রাথমিক টেটের প্রশ্নপত্রের ‘আনসার কি’ অর্থাৎ ‘বিকল্প উত্তর’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। সিঙ্গল বেঞ্চে মামলার শুনানি পর্বে পরীক্ষার্থীদের আনা যুক্তির সাপেক্ষে নথি তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে আবেদনকারীদের তরফে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্বীকৃত বই, নথি হিসেবে পেশ করা হলেও তা গ্রাহ্য না হওয়ায় এবার মামলা গড়াল ডিভিশন বেঞ্চে।
শুধু তাই নয়, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ‘আনসার কি’-এর গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে একই আবেদনে অন্য মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে গ্রাহ্য হলেও মামলাকারি ১০০ জন অনুত্তীর্ণ প্রার্থীর আনা আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকেও হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: সপ্তমীতে হেঁটে রাজবাড়ি থেকে মন্দিরে দেবীমূর্তি, চাঁচলে পূজিতা সিংহবাহিনী চতুর্ভুজা]
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী রিয়া দাস ও তনুশ্রী রায় জানান, “গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তার ফল প্রকাশ হয়। কিন্তু পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ১৩ টি প্রশ্নের বিকল্প উত্তর কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ৫০০ জনের বেশি প্রার্থী। তরুণ কুমার পাত্র সহ ১০০ জনের আবেদন সিঙ্গল বেঞ্চে গ্রাহ্য না হওয়ায় তাঁরা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন।”
যদিও আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি, “তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ গঠন করে ২০২২ এর প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি হয়। এমনই ‘আনসার কি’ও যাচাই করা হয়েছে। তার সাপেক্ষে আদালতে পর্যাপ্ত নথি পেশ করতে চায় পর্ষদ।” পালটা আবেদনকারীদের বক্তব্য, “প্রশ্নপত্রে থাকা ১৩ টি প্রশ্নের বিকল্প উত্তর হিসেবে চারটির মধ্যে দুটিই গ্রহণযোগ্য। তাঁরা একটিতে অংশগ্রহণ করলেও পর্ষদ বলছে সেটা ভুল। মামলায় সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।”