অর্ক দে, বর্ধমান: প্রাথমিক টেটে নারীশক্তির জয়জয়কার। প্রথম স্থান দখল করলেন পূর্ব বর্ধমানে ইনা সিং। এবারের মতো আগামী দিনে নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে বলেই পর্ষদকে ঢালাও সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি।
বাবা, মায়ের একমাত্র সন্তান ইনা সিং। পূর্ব বর্ধমানের আলমগঞ্জের বাসিন্দা। বাবা অসুস্থ। তাই বছরদুয়েক ধরে কোনও আয় নেই তাঁর। অভাবের সংসারে ছাতা হয়ে দাঁড়াতে টিউশান পড়াতেন ইনা। কিন্তু বরাবর ইনার স্বপ্ন শিক্ষকতা করা। তাই প্রাথমিক টেটের প্রস্তুতির জন্য টিউশন পড়ানো বন্ধ রাখেন। নাওয়াখাওয়া ভুলে সারাদিন বই হাতে কেটেছে। অবশ্য টানা পরিশ্রমের সুফল পেলেন ইনা। প্রাথমিক টেটে ৬ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম স্থানাধিকার করেন তিনি। ইনার প্রাপ্ত নম্বর ১৩৩।
[আরও পড়ুন: ‘দালালের ফাঁদে পা দিলে দায় পর্ষদের নয়’, নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে বার্তা ব্রাত্যর]
এত ভাল রেজাল্ট হবে, তা আশা করেননি ইনা। তাই সুসংবাদ পেয়ে আপ্লুত তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন ইনা। তাঁর মতে, গত ডিসেম্বরের টেট যথেষ্ট স্বচ্ছ হয়েছে। আগামী দিনেও নিয়োগ স্বচ্ছ হবে বলেই আশা। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের কুর্নিশ জানিয়েছেন। তাঁদের আন্দোলনের সুফলই ইনাদের মতো বর্তমান টেট পরীক্ষার্থীরা পেয়েছেন বলে মত তাঁর।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর হয়েছিল ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট। অংশগ্রহণ করেছিলেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১০২ জন। মোট ১৫০ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছিল। পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছিল, ৬০ শতাংশ নম্বর পেলে অর্থাৎ ৯০ পেলেই পরীক্ষার্থীদের টেট পাশের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী টেটে পাশ করলেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। মহিলাদের পাশের হার ৪৬.১২১ শতাংশ। পুরুষদের পাশের হার ৫৩.৮৭৫ শতাংশ।
দেখুন ভিডিও: