সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট বিধানসভা (Gujarat Assembly Election) নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার সকালে আহমেদাবাদের নিশান পাবলিক স্কুলের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, তাঁর ভোটদান নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। এদিন খানিকটা দূর থেকে পায়ে হেঁটে নিজের ভোটকেন্দ্রে যান মোদি (Narendra Modi)। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় জমান অসংখ্য সাধারণ নাগরিক। ফলে মোদির হেঁটে ভোট দিতে যাওয়াটা কার্যত রোড শোতে পরিণত হয়। প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যায় হাত নেড়ে সাধারণ মানুষকে সম্বোধন করতে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ভোটের দিন এভাবে রোড শোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলাটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা নয় তো?
বিজেপির (BJP) তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার দিল্লিতে জি-২০ বৈঠক ছাড়াও দলীয় সভা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সকালে ভোট দিয়ে দিল্লি ফিরে যাবেন। ভোট দেওয়ার কথা নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদির। গান্ধীনগরে তাঁর ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও প্রবীণ নাগরিক হিসাবে অন্যদের মতো তাঁরও বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করেছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। অমিত শাহ আমেদাবাদে ভোট দেবেন। তবে দলের বৈঠক থাকায় মোদি ও শাহ (Amit Shah) দু’জনেই সকালে ভোট দিয়ে দিল্লি ফিরবেন। এদিনই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শীর্ষনেতৃত্বের উপস্থিতিতে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হবে।
[আরও পড়ুন: জালিয়াতি ঠেকাতে নয়া নিয়ম কেন্দ্রের, ওষুধেও এবার QR কোড আবশ্যিক]
উল্লেখ্য, আজ গুজরাটে দ্বিতীয় দফায় ৯৩টি আসনে ভোটগ্রহণ। ৯৩টি আসনের প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ হবে। শান্তিপূর্ণ ও আবাধ ভোট করাতে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশও মোতায়েন। থাকবে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। তবে কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে কংগ্রেস (Congress)। অভিযোগ, কমিশন ত্রিপুরা, অসমের মতো বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী এনে ভোট করাচ্ছে। এই বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! মন্দিরে প্রণাম করার পরই মৃত্যু ভক্তের, ভিডিও দেখে চোখে জল নেটিজেনদের]
১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভার ভোটে প্রথম দফায় ৮৯টি আসনে ভোট হয়েছে ১ ডিসেম্বর। আজ আমেদাবাদ, গান্ধীনগরের মতো শহর এলাকায় ভোট। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে শহর এলাকায় সাড়ে ৮ হাজার ও গ্রামীন এলাকায় প্রায় ১৮ হাজার বুথ রয়েছে। মোট ৮৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে সোমবার। এইবার প্রথম ভোট দেবেন এমন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ। ভাগ্য নির্ধারিত হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কংগ্রেস প্রার্থী ও দলিত আন্দোলনের মুখ জিগ্নেশ মেবানি, কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া অল্পেশ ঠাকোর, পাটিদার নেতা হার্দিক প্যাটেলের (Hardik Patel)।