অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: স্বাস্থ্যসাথীর (Swasthya Sathi) কার্ড থাকা সত্ত্বেও বৃদ্ধ রোগীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুর এলাকায়। রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে শিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ রোগীর নাম রাজকুমার সিং। তাঁর বয়স ৭১। শিবপুর এলাকারই বাসিন্দা রাজকুমারবাবু। গত ৯ তাঁর ডান পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। রাজকুমারবাবুর ছেলে আদিত্য কুমার সিংয়ের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে তাঁদের। সেই অনুযায়ী চিকিৎসায় কোনও খরচ হওয়ার কথাই নয়। কিন্তু হাসপাতালের এক চিকিৎসার খরচ হিসেবে টাকা চান। এক কর্মীর মাধ্যমে চিকিৎসক নগদ টাকা চান বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, প্রচুর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য]
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন টাকা চাওয়া হবে? এই প্রশ্ন তোলেন আদিত্য কুমার সিং। পরে থানায় অভিযোগ করা হয়। এই প্রসঙ্গে শিবপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার সংগীতা হাজরা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসকরা ভিজিটিং কনসালটেন্ট হন। সেক্ষেত্রে কেউ যদি নার্সিংহোমের বাইরে টাকা চেয়ে থাকেন তাহলে নার্সিংহোমের কিছু করার নেই। নার্সিংহোম ওই রোগীর পরিবারের থেকে কোনও টাকা চায়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রাহ্য করতেই হবে। রোগীর চিকিৎসার জন্য সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য এমনই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল মানছে না সেই নির্দেশ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। জুন মাসে নিউ আলিপুরের ক্যালকাটা মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বা CMRI হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি মানবিক দিক দিয়ে বিচার করে রোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।