শিলাজিৎ সরকার: ভারতের প্রথম মহিলা ফুটবল কোচ হিসাবে এএফসি প্রো লাইসেন্স পেলেন প্রিয়া পারাথি ভালাপ্পিল। যিনি ভারতীয় ফুটবলে পরিচিত প্রিয়া পিভি নামেই। ২০২৩ সালের আগস্টে এএফসি-র ডিপ্লোমা কোর্স শুরু করেন তিনি। ভারতের চার শহরে এই কোর্সের প্রথম চারটি মডিউল হয়। আর পঞ্চম মডিউলটি হয় সৌদি আরবের রিয়াধে। সেই কোর্সে সাফল্য পাওয়ার সুবাদেই দেশের প্রথম প্রো লাইসেন্স মহিলা কোচ হলেন কান্নুরের প্রিয়া।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশের মহিলা ফুটবলে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন প্রিয়া। এর আগে তাঁর অধীনেই জাতীয় মহিলা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় গোকুলাম কেরালা, দেশের প্রথম ক্লাব হিসাবে খেলে এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। গত কয়েক বছর বয়সভিত্তিক বিভিন্ন জাতীয় মহিলা দলের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সিনিয়র মহিলা দলের সহকারী কোচ হিসাবেও কাজ করছেন। প্রো লাইসেন্সের লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় পর প্রিয়া বলছিলেন, “আমি ফুটবলার থাকার সময় থেকেই একটার পর একটা ডিপ্লোমা সম্পূর্ণ করেছি। ‘এ’ লাইসেন্স করেছি ২০১৪ সালে। সেখান থেকে প্রো লাইসেন্স করতে এক দশক সময় লেগে গেল। একটা লক্ষ্যপূরণ হল। ভালো লাগছে। পাশাপাশি দেশের প্রথম মহিলা কোচ হিসাবে প্রো লাইসেন্স পেলাম, সেটা বাড়তি পাওনা। আপাতত কোচিংয়ে সময় দিয়ে অভিজ্ঞতা বাড়াতে চাই।”
প্রো লাইসেন্সের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এবার কোনও ক্লাবের দায়িত্ব নেননি তিনি। পরের মরশুম প্রিয়ার ফের ক্লাব কোচিংয়ে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে। কোচিং জীবনের শুরুর দিকে কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রিয়া। সেই সময় ছেলেদের দলকেও কোচিং করিয়েছেন। তবে আপাতত মহিলা ফুটবলেই মন দিতে চাইছেন তিনি। জাতীয় দলের সহকারী কোচের কথায়, “কোচিংয়ে ছেলে বা মেয়ে বলে আলাদা কিছু হয় না। তবে আমি এখন শুধু মহিলা ফুটবলারদের তৈরি করার উপরেই জোর দিতে চাইছি। কারণ, আমাদের দেশে ছেলেদের জন্য অনেক ভালো কোচ আছেন। সেখানে মহিলা ফুটবলে এই বিষয়ে অভাব রয়েছে। তাই আমার ফোকাস এখন সেদিকেই।” প্রিয়ার পাশাপাশি এবার আরও ১১ ভারতীয় কোচ এই ডিপ্লোমা সম্পূর্ণ করেছেন। সেই তালিকায় বাংলার ইয়ান ল-এর সঙ্গে গৌরমাঙ্গি সিং, আরাতা আজুমি, রামন বিজয়ন, স্টিভেন ডায়াসের মতো প্রাক্তন ফুটবলারও আছেন।