সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) গ্রেপ্তার হলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। রবিবার রাত থেকে সীতাপুর গেস্টহাউসে ‘বন্দি’ ছিলেন তিনি। অবশেষে ৩০ ঘণ্টা আটক থাকার পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের। রবিবার গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে লখিমপুর খেরিতে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। ওইদিন রাতেই প্রিয়াঙ্কা লখিমপুরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে আটকায় পুলিশ।
রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে লখিমপুর খেরিতে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে সেখানে। অশান্তির মাঝে পড়ে আরও ৪ জন প্রাণ হারান। ওইদিন রাতেই উত্তরপ্রদেশের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) লখিমপুর যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে লখিমপুরের আগে সীতাপুরে পুলিশ আটকায়। সেখানকার এক গেস্ট হাউসে আটক করা হয় তাঁকে। সেখানেই অনশন শুরু করে দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্দেশে মঙ্গলবার টুইট করার পাশাপাশি দিয়েছেন ভিডিও বার্তাও।
[আরও পড়ুন: লখিমপুরের ঘটনা নীরব কেন মোদি? মুখপত্র ‘সামনা’য় প্রশ্ন শিব সেনার]
এদিকে মৃত কৃষকদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টের দাবি, মৃত চার কৃষকের কারও শরীরেই গুলির আঘাতের চিহ্নের সন্ধান মেলেনি। ধাক্কাধাক্কির ফলে হওয়া অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, সব মিলিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই সংঘর্ষে।
চার কৃষকের হত্যায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে। যদিও অজয় তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এছাড়া তাঁর পাল্টা দাবি, ওইদিন চার কৃষক ছাড়াও আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন বিজেপি কর্মী ও গাড়ির চালক। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কেবল চার কৃষকেরই নাম রয়েছে।