সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মের আগে শিশুর লিঙ্গ শনাক্তকরণ (Sex Detection) তথা ভ্রুণ হত্যা (Fetal Murder) দণ্ডনীয় অপরাধ। তথাপি মাঝেমাঝেই সেই খবর সংবাদপত্রের শিরোনামে আসে। তেমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সাক্ষী হল দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটক (Karnataka)। সেখানে একটি নর্দমা থেকে কৌটো ভরতি ৭টি মানব ভ্রুণ মিলল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, লিঙ্গ শনাক্তকরণ ও ভ্রুণহত্যার ঘটনাই ঘটেছে। অজ্ঞাত অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
কর্ণাটক রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি রাজ্যের বেলাগাভি (Belagavi) জেলার মুদালগি (Mudalagi) শহরের। একটি নর্দমা থেকে কৌটোভরতি ৭টি ভ্রুণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া রাস্তার পাশের একটি নর্দমায় পাঁচটি কৌটোর ভিতরে ওই ভ্রুণগুলিকে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পথচারীদের থেকেই খবর পায় প্রশাসন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রামচন্দ্রকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য, নুপূর শর্মাকে ধর্ষণ ও মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি! বিতর্কে ইউটিউবার]
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মহেশ কোনি (Dr Mahesh Koni) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কৌটোভরতি ৭টি ভ্রুণ পাওয়া গিয়েছে। ভ্রুণগুলির বয়স পাঁচ মাস। লিঙ্গ শনাক্তকরণ ও হত্যার প্রমাণ মিলেছে। জেল প্রশাসনের নির্দেশ ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে একটি দল গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শনাক্ত করা ভ্রূণগুলিকে প্রথমে একটি হাসপাতালে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। পরে পরীক্ষার জন্য জেলা কার্যকরী বিজ্ঞান কেন্দ্রে আনা হয়েছে।” এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অজ্ঞাত অপরাধীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘১৯ বছর মুখ বুজে মিথ্যাচার সহ্য করেছেন মোদি’, গুজরাট দাঙ্গায় সুপ্রিম স্বস্তিতে মন্তব্য শাহর]
একটি সমীক্ষা বলছে, ভারতে বছরে ১০ লাখ কন্যাভ্রুণ হত্যা করা হয়৷ পৃথিবীর আলো দেখার আগেই সরিয়ে ফেলা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় জন্মের অধিকার। ভারতীয় সমাজে নারী বৈষম্য অব্যাহত৷ ইউনিসেফের রিপোর্টও বলছে, কন্যাভ্রুণ হত্যা কোথাও কোথাও গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে৷ হরিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লি, গুজরাট, হিমাচল, ওড়িশার মতো রাজ্যে পরিস্থিতি তুলনামূলক অতিরিক্ত খারাপ। বিচ্ছিন্নভাবে দক্ষিণের রাজ্যেও ভ্রুণহত্যার ঘটনা ঘটে থাকে। সেন্টার ফর সোস্যাল রিসার্চের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ভারতে প্রতি ২৫টি কন্যাসন্তানের মধ্যে একজনকে হত্যা করা হয়।