ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগ দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে (Dipankar De)। যোগ দিলেন বাংলা সিনেমা ও টেলিভিশনের প্রখ্যাত অভিনেতা ভরত কলও (Bharat Kaul)। সঙ্গে যোগ দেন রাশিদ খানের মেয়ে সাওনা খান। তৃণমূলের পতাকা হাতে নেন ‘মোহর’, ‘জল নূপুর’-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করা অভিনেত্রী লাভলি মিত্রও। ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) তত্ত্বাবধানেই রাজ্যের শাসক দলে যোগ দেন প্রত্যেকে।
কেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরেই শুক্রবার দীপঙ্কর দে জানান, তিনি যখন হাসপাতালে ভরতি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারই তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করেছে। তাঁকে একাধিকবার সম্মান দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, ‘আমি বেইমানি করতে পারব না’।
[আরও পড়ুন: অবশেষে কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন সলমন খান, কী বললেন? দেখুন ভিডিও]
কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক তারকারা মন্তব্য করেন। এদিন সেপ্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গ, মিয়া খালিফাদের মন্তব্যকে সমর্থন করেন তিনি। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের (Farmers Protest) বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াকে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়েও বক্তব্য রাখেন ব্রাত্য বসু। যে তারকারা রিহানা-গ্রেটাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁদের কি ভয় দেখানো হচ্ছে? এই প্রশ্নও তোলেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “যে তারকারা এখনও বিজেপিতে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁরা ভুল করছেন। আজকে যখন সাওনার মতো মানুষরা এসে দাঁড়ায়, টিটোদার (দীপঙ্কর দে) মতো মানুষরা এসে দাঁড়ায়, তখন বুঝতে হবে পুরোটা এখনও বিকিয়ে যায়নি। পুরোটা চাটার্ড ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।” এরপরই তিনি জানান, যে তারকারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তাঁরা দিল্লির নেতাদের হাত থেকে পতাকা নিচ্ছেন। অর্থাৎ আঞ্চলিক নেতাদের কোনও গুরুত্ব নেই।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা সৌরভ দাস (Saurav Das)। এরপর শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত হন অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)। তৃণমূলে নাম লেখান ইম্পার (EIMPA) কর্তা পিয়া সেনগুপ্তও।