সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহিত মহিলার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তাকে ধর্ষণের আওতায় ফেলা যাবে না। বৃহস্পতিবার এই রায় দিল কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)। এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার রায় দিতে গিয়ে এই কথা জানিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে ওই যুবককে নিষ্কৃতিও দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। এক মহিলা দাবি করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় অভিযুক্ত যুবকের। সেখান থেকেই গভীর হয় দু’জনের বন্ধুত্ব। একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতেও যান তাঁরা। সেখানেই একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন অভিযোগকারিনী। তবে অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। বিবাহের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন বলেই এই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বলেই দাবি করেছেন অভিযোগকারিণী। তবে সেই সময় আইনত তিনি বিবাহিত ছিলেন। প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছিল।
[আরও পড়ুন: সৌদি যুবরাজকে ভিসায় ছাড়পত্র দেওয়ার প্রসঙ্গে মোদির উদাহরণ কেন, আমেরিকার প্রতি রুষ্ট ভারত]
কিন্তু এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কেরল হাই কোর্ট। বিচারক কওসর এডাপ্পাগাথ জানিয়ে দেন, শুনানির সময়ে একাধিকবার বোঝা গিয়েছে, দু’জনের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তাছাড়া অভিযোগকারিণী সেই সময়ে আইনত বিবাহিত ছিলেন। সেই অবস্থায় অন্য কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে জড়াতে পারেন না তিনি। সেই ক্ষেত্রে বিবাহের প্রতিশ্রুতি একেবারেই অর্থহীন। এই যুক্তিতেই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক।
অভিযুক্তকে এই মামলায় বেকসুর খালাস করেছে কেরল হাইকোর্ট। রায় দিতে গিয়ে বিচারক জানিয়েছেন, এহেন অহেতুক কারণ দেখিয়ে কারোওর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতারণা বা ধর্ষণ- কোনও অভিযোগই এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই ধরনের আরেকটি মামলায় রায় দিয়েছিল কেরল হাই কোর্ট। সেখানে বলা হয়েছিল, বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে যদি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন কোনও মহিলা, সেক্ষেত্রেও ধর্ষণের অভিযোগ আনা যাবে না।