সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত সকালে শহরের বুকে চলল গুলি। আর তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পার্ক সার্কাসের কড়েয়া ব্রাইট স্ট্রিট এলাকা। প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদের জেরে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ আতিকুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে ইদ্রিশ আলি নামে এক ব্যক্তি। আহত অবস্থায় আতিকুরকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর এ ঘটনার পরেই এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র উত্তেজনা। ভাঙচুর করা হয় অভিযুক্তর বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন লাগিয়ে দেয় নথিপত্রে। এলাকায় পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[পাগল ছেলেকে ক্ষমা করতে পারেন শচীনই, কাতর আরজি দেবকুমারের পরিবারের]
জানা গিয়েছে, একই এলাকায় বসবাসকারী আতিকুর এবং ইদ্রিশ আগে থেকেই একে-অপরকে চিনত। তবে বেশ কিছুদিন ধরে একটি বাড়ি নিয়ে দু’জনের বিবাদ চলছিল। এদিন সকালে আতিকুরের ছেলে যখন স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল, তখনই দলবল নিয়ে আতিকুরের বাড়ির সামনে আসে ইদ্রিশ। প্রকাশ্য দিবালোকেই বাড়ির সামনে আতিকুরকে গুলি করে সে। আর এরপরই মোটরবাইক নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ইদ্রিশ। এরপরই আতিকুরকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। অনেকে আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আতিকুরের বোন ক্ষুব্ধ ভাষায় জানান যে, তাঁর চোখের সামনে ভাইকে গুলি করা হয়েছে। দু’জনের মধ্যেই ঝামেলা বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল। আর তার জেরেই ইদ্রিশ নামে ওই ব্যক্তি আতিকুরকে গুলি করেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এখন অসহায় পরিবারের দায়িত্ব কে নেবে? তিনি আরও জানান, ইদ্রিশের বিরুদ্ধে এর আগে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। হামলা চালানো হয় ইদ্রিশের বাড়িতে। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে উত্তেজিত জনতা। ঘর থেকে নথিপত্র এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্তর গ্রেপ্তারি ও শাস্তির দাবি তোলেন আতিকুরের বোন।
[শ্রমিককে কান ধরিয়ে ওঠবস, বিতর্কে পরিবহণ আধিকারিক]
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। ইতিমধ্যে পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। তবে তাতেও শান্ত করা যায়নি তাঁদের। চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
[সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেই ভাবছেন নিশ্চিন্ত? নির্ভাবনার দিন শেষ]
The post প্রোমোটিং বিবাদে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য কড়েয়ায় appeared first on Sangbad Pratidin.