সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্যাদা পুরুষোত্তম! যে বিশেষণ সচরাচর ব্যবহার করা হয় শ্রীরামচন্দ্রের জন্য, সেই বিশেষণই এবার ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মহম্মদকে দিলেন বিহারের মন্ত্রী। ইসলাম ধর্মের নবিকে ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’ বলে দিলেন বিহারের মন্ত্রী চন্দ্রশেখর।
লালুর দল আরজেডির নেতা বলেন, গোটা বিশ্বে যখন শয়তানদের রাজত্ব চলছিল। অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল তখন মহম্মদকে পাঠানো হয়েছিল বিশ্বাস ফেরানোর জন্যে। ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল সেকারণেই। অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য।
[আরও পড়ুন: ‘বোমা মেরে মানচিত্র বদলে দেব’, G-20 বৈঠকের মধ্যেই হুমকি ফোন, হুলস্থুল বারাণসী বিমানবন্দরে]
ওই আরজেডি নেতার দাবি, “মহম্মদ নিখুঁত মানুষ ছিলেন, যাকে বলে মর্যাদা পুরুষোত্তম। যখন বিশ্বব্যাপী অনৈতিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের বিশ্বাস হ্রাস পাচ্ছিল, যখন অশুভ শক্তির রাজত্ব চলছিল, তখন মধ্য এশীয় অঞ্চলে ঈশ্বর মহম্মদকে পাঠান। অসততার বিরুদ্ধে লড়াই এবং দুষ্টের দমন করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিলেন মহম্মদ। তিনিই প্রকৃত মর্যাদা পুরুষোত্তম।”
[আরও পড়ুন: G-20: প্রাচীন ভারতের সুরলহরীতে অতিথি আপ্যায়ন, রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে বিশেষ আয়োজন]
চন্দ্রশেখরের এই মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই তেড়েফুঁড়ে আরজেডিকে আক্রমণে নেমেছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, মুসলিমদের তোষণের জন্যই এই ধরনের মন্তব্য করছেন আরজেডির ওই নেতা। ভগবান শ্রীরাম এবং মহম্মদকে একাসনে বসানোর প্রবল বিরোধিতা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও কাঠগড়ায় তুলছে গেরুয়া শিবির।