সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকায় আগ্রাসনের কড়া জবাব পেয়েছে চিন (China)। এবার আবারও ধাক্কা খেল কমিউনিস্ট দেশটি। জমি দখলের অভিযোগে চিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল কাঠমান্ডু।
[আরও পড়ুন: শেষ হয়নি লড়াই, আমরুল্লা সালেহর নেতৃত্বে নির্বাসিত সরকারের ঘোষণা আফগানিস্তানে]
বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুতে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ‘লোকতান্ত্রিক যুব মোর্চা’। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সীমান্তবর্তী এলাকায় নেপালের জমি দখল করেছে চিন। সেই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন মোর্চার প্রেসিডেন্ট রামকিশোর সিং। তিনি বলেন, “আমাদের জমি ফিরিয়ে দিক চিন। নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপে করা বন্ধ করুক তারা।” স্থানীয়দের দাবি, নেপালের হুমলা জেলায় অবৈধভাবে পনেরো থেকে বিশটি বাড়ি বানিয়েছে চিন। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় স্থানীয় লোকজনদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না চিনা সেনাবাহিনী। মনে করা হচ্ছে, সেখানে সেনাঘাঁটি তৈরি করছে লালফৌজ।
নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির জমানায় বেশ কয়েকবার চিনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ উঠেছে। তবে বারবার সমস্ত অভিযোগ খন্ডন করে চিনপন্থী ওলি সরকার। পালটা ভারতের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ এনে নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক কূটনৈতিক লড়াই শুরু করে দেয় ওলি সরকার। পাল্লা দিয়ে শুরু হয় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাত। তারপর নেপালে পালাবদল হয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন নেপালি কংগ্রেসের শের বাহাদুর দেউবা।
উল্লেখ্য, বিগত বছর থেকেই নেপালের বিস্তীর্ণ এলাকার জমি চিনের লালফৌজ দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল। গত বছর সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শন করে তার প্রমাণও পায় নেপালের ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক। কিন্তু, তারপরও বারবার এই সত্যতা অস্বীকার করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির প্রশাসন। এমনকী এই বিষয় নিয়ে খবর প্রকাশ করার জেরে একজন সাংবাদিককে খুনও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে জমা থাকা অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে।