সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লজ্জার ৮০০ দিন! যন্ত্রণার ৮০০ দিন! টানা ৮০০ দিন ধরে রাস্তায় যোগ্য় চাকরিপ্রার্থীরা। লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। তবু সমাধান সূত্র এখনও অধরা। আদালত, রাজনৈতিক দল, প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। আন্দোলনের ৮০০তম দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দৃষ্টি আর্কষণ করতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চাকরিপ্রার্থীদের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখছেন তাঁরা। মুখে কালি মেখে প্রতিবাদ করছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার কালীঘাটে পুজো দেন সেই ২০১৬ সালের এসএলএসটির (SLST) চাকরিপ্রার্থীরা। আশা একটাই, এবার হয়তো ঠাকুর মুখ তুলে চাইবেন। পুজো দিয়ে ফিরে ফের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ‘অন্ন চাই’. ‘চাকরি চাই’ পোস্টার নিয়ে ধরনায় বসেন তাঁরা। হাতে ধরা ব্যানারে আটকানো ছিল রুটি। তাঁদের দাবি একটাই, ৮০০ দিন আতিক্রান্ত। এবার অন্তত মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের নিয়োগের কথা ভেবে দেখুন।
[আরও পড়ুন: জামাইদের জন্য সুখবর, জামাইষষ্ঠীতে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা নবান্নের]
২০১৬ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। যে প্যানেলে নাম ঢুকেছিল মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার, হয়েছিল চাকরি, সেই প্যানেলের চাকরিপ্রার্থী এই আন্দোলনকারীরা। পরীক্ষায় পাশ করেও নিয়োগ মেলেনি। যার নেপথ্যে বিপুল দুর্নীতি। নিয়োগের দাবিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে গত ৮০০ দিন ধরে রাস্তায় রয়েছেন তাঁরা। কখনও প্রেসক্লাব, কখনও গান্ধীমূর্তি তো কখনও বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এদিন তাঁরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ চেয়ে কালীঘাটে কালী মায়ের কাছে পুজো দেন। পুজো সেরে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, “আমরা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছি। কিন্তু দুর্নীতির কারণে নিয়োগ মেলেনি। এখন আইনের যাঁতাকলে পিষছি আমরা। সমস্যার সমাধান করে দ্রুত নিয়োগের আশায় কালীঘাটে পুজো দিয়ে এসেছি।”
সেখান থেকে ফিরে ফের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন তাঁরা। হাতে ধরা পোস্টার-ব্যানারে লেখা, ‘অন্ন চাই’, ‘নিয়োগ চাই’, ‘কর্মসংস্থান চাই’, ‘বাঁচার অধিকার চাই’। ব্য়ানারের মধ্য়ে আটকানো রুটি, জলের গ্লাস। আন্দোলনকারীদের দাবি, “এভাবেই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই আমরা।” মুখে কালি মেখে, খালি গায়ে প্রতিবাদে বসেছেন তাঁরা। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রক্ত দিয়ে চিঠিও লেখেন।