সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারল না পিএসজি (PSG)। বিশ্ব ফুটবলের ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরও প্যারিসের ক্লাবটির হার বাঁচাতে পারলেন না। লিওনেল মেসি, নেইমার শুরু থেকেই ছিলেন। বিরতির পর মাঠে নামেন কিলিয়ান এমবাপে। তবুও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম সাক্ষাতে বায়ার্ন মিউনিখের (Bayern Munich) কাছে ১-০ গোলে হার মানতে হল প্যারিসের ক্লাবটিকে।
মেসি ও নেইমার শুরু থেকে খেললেও তাঁরা নিজেদের ছন্দে ধরা দেননি। এমবাপে নামার পরে পিএসজিকে কিছুটা উজ্জ্বল দেখালেও কাজের কাজ হয়নি। ৫৩ মিনিটে বায়ার্ন মিউনিখ গোল করে এগিয়ে যায়। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি প্যারিস সাঁ জাঁ। বায়ার্নের হয়ে গোলটি করেন কিংসলে কোমান। প্যারিস সাঁ জাঁ-র অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা কোম্যান এখন বায়ার্নে। যেখানে খেলা শিখে বেড়ে উঠেছেন, সেই ক্লাবের বিরুদ্ধেই গোল করলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রনজি ফাইনালে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত সৌরাষ্ট্রর, একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলা]
নামী দলের বিরুদ্ধে চিরকালই নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেয় বায়ার্ন। আক্রমণ, আক্রমণ আর আক্রমণ, এই মন্ত্রেই খেলতে নেমেছিল বায়ার্ন। সেই সঙ্গে ছিল জার্মানদের বিখ্যাত প্রেসিং ফুটবল। সেই ফুটবলের সঙ্গে মানাতে বেশ কিছুটা সময় নেয় পিএসজি। সেই সুযোগ পুরোমাত্রায় নেয় বায়ার্ন। আক্রমণের মালা গাঁথলেও সেই আক্রমণগুলো পূর্ণতা পায়নি। গোল আসেনি শুরুতেই। বায়ার্নের আগ্রাসী ফুটবলের জন্য পিএসজি নিজেদের খেলার ধরন বদলে ফেলার চেষ্টা করে। প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলার উপরে জোর দেন মেসি-নেইমাররা। কিন্তু তাতেও বার্য়ার্নকে ধাক্কা দেওয়া যায়নি। বরং বায়ার্ন যদি সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারত, তাহলে হয়তো বিরতির সময়ে একাধিক গোলে যেতে পারত জার্মানির ক্লাবটি।
৫৭ মিনিটে আলফোনসো ডেভিসের ক্রস থেকে গোলটি করেন কিংসলে কোমান। পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। এই সময়ে এমবাপেকে নামানো হয়। তিন মহাতারকা মাঠে থেকেও সমতা ফেরাতে পারেননি। যদিও এমবাপে গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিলেন। অফসাইড থেকে করা তাঁর গোল বাতিল হয়। এমবাপে পরে পিএসজি-র আক্রমণে ধার আনলেও গোল আর হয়নি। ঘরের মাঠে হার মানতে হয় পিএসজিকে। ৮ মার্চ ফিরতি ম্যাচ।