সুকুমার সরকার, ঢাকা: গত দু’দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে দুর্গাপুজোর মহাষ্টমীতে সকালে ঝলমলে রোদ ওঠায় ঢাকার পুজোমণ্ডপে ভক্তদের ঢল নামে। ব্যতিক্রম নয় নবমীও। আগের দু’দিনের তুলনায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের ভিড় ছিল চোখে দেখার মতো।
রবিবার রীতি অনুযায়ী মহানবমী পুজো হয়। করোনার সংক্রমণ ও বৃষ্টির কারণে পুজো অর্চনাকারীদের জন্য এবার পরিবেশটা বেশ প্রতিকূল। তারপরও থেমে নেই মা দুর্গার ভক্তরা। অন্যান্যবারের মতো উৎসবে ভাটা দেখা গেলেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অঞ্জলি দিতে পুজোমণ্ডপে এসেছেন অনেকে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও রাজধানী ঢাকার কলাবাগান মাঠে অনেক ভক্ত অঞ্জলি দেন। তবে ভক্তদের ভিড় করতে দেখা যায়নি।
[আরও পড়ুন : করোনা কাঁটায় রীতিতে কোপ, মহাষ্টমীতে ঢাকার কোথাও হল না কুমারী পুজো]
ভিড় না করতে পুজো উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকেও নজরদারি রাখা হয়েছে। একই চিত্র দেখা গিয়েছে, জয়কালী মন্দির, বরদেশ্বরী কালিমাতা মন্দির, রমনা কালীমন্দির, শ্যামবাজার শিবমন্দির, খামার বাড়ি মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির ও স্বামীবাগ ইসকন মন্দির-সহ অন্যান্য মণ্ডপগুলোতে। তবে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ভিড় ছিল বেশি। সন্ধ্যার পর এই ভিড় কমতে শুরু করে। কেননা রাত ৯টার মধ্যে কোন ভক্ত মণ্ডপে থাকতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন : উৎসবের মরশুমে সুখবর, এবার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তাহে চলবে ২৮টি বিমান]
ঢাকা মহানগর পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, করোনা সতর্কতা ও বৃষ্টির কারণে অনেকেই মণ্ডপে আসেননি। তবে নবমীর দিনে তারা আসছেন। এ কারণে মণ্ডপগুলোতে ভিড় কিছু বাড়বে। সেটা বিবেচনায় রেখে ভক্ত-দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে এ বছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পুজো মণ্ডপ। থাকছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা। স্বাস্থ্যবিধির দিকে খেয়াল রেখে পুজোয় প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী সোমবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।