shono
Advertisement

এবার পুজো কীভাবে কাটাবেন মনামী-বিশ্বনাথ-অনির্বাণ?

পুজোর কটাদিন ডায়েট থেকে দূরে থাকবেন তিন তারকা৷ The post এবার পুজো কীভাবে কাটাবেন মনামী-বিশ্বনাথ-অনির্বাণ? appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:48 PM Oct 07, 2018Updated: 08:07 PM Oct 07, 2018

আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজোর প্ল্যানিং সেরে ফেলেছেন সেলেবরা। কেউ শহরে, কেউ বাইরে। তারকাদের পুজো প্ল্যানিংয়ের দ্বিতীয় পর্ব আজ। কথা বলেছেন সোমনাথ লাহা

Advertisement

মনামী ঘোষ (অভিনেত্রী)
দুর্গাপুজোয় এবার কলকাতায় থাকব। তবে পঞ্চমী অবধি শুটিং থাকবে সিরিয়ালের। আর পুজোর সময় বিভিন্ন ইভেন্টস, পুজো পরিক্রমার কাজ থাকে। এই নিয়েই নবমী পর্যন্ত ব্যস্ত থাকব। তাই পুজোর প্ল্যানিংটা সেভাবে করে উঠতে পারিনি এখনও। তবে পুজো পরিক্রমার সুবাদে কলকাতায় নামী-দামী ঠাকুরগুলি দেখা হয়ে যায় সেটা বেশ ভাল লাগে। অষ্টমীর দিনও পরিক্রমা থাকবে। তাই এই পরিক্রমার সৌজন্যেই কোনও না কোনও পুজোমণ্ডপে অঞ্জলিও দিয়ে দেব আর ভোগ খাওয়াও হয়ে যাবে। পুজো পরিক্রমায় যেহেতু ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধবরাও থাকে তাই ঠাকুর দেখার মাঝে তাদের সঙ্গে পরিক্রমায় যাওয়ার সুবাদে খানিক আড্ডাও দিয়ে নেব। পুজোয় আমি এথনিক পরতেই বেশি পছন্দ করি। তাই বেশিরভাগ দিনই শাড়ি পরব। তবে চুড়িদার পরারও ইচ্ছে রয়েছে। পুজোর সময় আমি ডায়েটিং করি না। তাই পরিক্রমা শেষে কোনও রেস্তরাঁয় বসে নিখাদ বাঙালি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। এই সময় বড় বড় রেস্তরাঁয় মাছের খুব ভাল পদ পাওয়া যায়। তাই আমিও এই পুজোর সময় পাতুরি, ইলিশ মাছের কোনও পদ, পোস্ত/মোচার বড়া, বিভিন্ন মাছের পদ খাব। আর বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবারও খাব। মিষ্টিটাও এইসময় নানারকমের পাওয়া যায়। যদি একান্তই রেস্তরাঁয় বসে খাওয়ার সুযোগ না হয় তাহলে অর্ডার দিয়ে বাড়িতে আনিয়ে বসে খাব। তবে অবশ্যই বাঙালি খাবার। আর দশমীর পরে যদি কাজে ছুটি থাকে তাহলে চার দিনের জন্য হলেও দেশের বাইরে থাইল্যান্ড কিংবা মালয়েশিয়া থেকে ঘুরে আসব। ছোটবেলায় আমার পুজোটা কেটেছে বসিরহাটে। তখন পুজোর আগে পরীক্ষা শেষ হত। ফলে পুরো পুজোময় জীবন ছিল। অনেকগুলি জামা হওয়ায় দিনে ৫ থেকে ৬টা জামাকাপড় বদলাতাম। পাড়ার প্যান্ডেলে বসা, পাড়ার ফাংশনে অংশগ্রহণ করা, এগুলি করতাম। আর বসিরহাটে অনেক পুজো হত। বাবা-মা/বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে সেইসব ঠাকুর দেখতাম। খুব মজায় আর আনন্দে কেটেছে সেইসব দিনগুলি।

[পুজোর চারদিন কীভাবে কাটাবেন প্রিয়াঙ্কা-সোহিনী-পায়েল?]

বিশ্বনাথ বসু (অভিনেতা)
আমার দুর্গাপুজোয় প্রতি বছর একটাই রুটিন। আমি পুজোর সময় আমার দেশের বাড়ি আড়বেড়িয়ায় থাকি। ওখানেই পুজো কাটাই। আমাদের দেশের বাড়িতে সাবেকি, ঘরোয়া পরিবেশে দুর্গাপুজো হয়। ছেলেবেলা থেকে ওখানেই পুজোয় থাকতাম। বাড়ির পুজো দেখে বড় হয়েছি। তারপর ১৯৯৬-তে কলকাতায় চলে আসি। কিন্তু আমার রুটিন পালটায়নি। তাই ওইসময় এক কোটি টাকার পার্ট হোক কিংবা অমিতাভ বচ্চনের ছেলের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব কেউ আমার কাছে নিয়ে এলেও আমি সেটা করব না। দেশের বাড়ির ওই সাবেকি-ঘরোয়া দুর্গাপুজোর পরিবেশটাই তখন আমার টানে। আর আমাদের বাড়ির ঠাকুর বিসর্জন মানে দশমীর বিষয়টা দেখার মতো। এখনও সাবেকি প্রথা মেনে ৭ কিমি পথে কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

রুক্মিণীর সঙ্গে নয়, এবারের পুজো এভাবেই কাটাবেন দেব

অনির্বাণ ভট্টাচার্য (অভিনেতা)
আমি বড় হয়েছি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সদরে। ওখানেই আমাদের বাড়ি। ছোটবেলায় তাই পুজোর সময় বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ক্যাপ-বন্দুক ফাটানো, সদরের এখানে ওখানে ঘোরা এভাবেই আমার পুজো কেটেছে। আর এখন এত কাজের চাপ থাকে সারা বছর যে পুজোর ক’টাদিন আমি আমার মফস্বলের বাড়িতে একেবারে নির্ভেজাল বিশ্রাম নিই। বলা যায় ছুটি কাটাই। বিভিন্ন রকমের বই, সাহিত্য পড়ি। বিকেলের দিকে বেরিয়ে সদরের এদিক-ওদিক থেকে একটু ঘুরে আসি। বাড়িতে যা রান্না হয় তাই খাই। আলাদা সেরকম কোনও পুজোর পোশাক বা বিশেষ খাওয়া-দাওয়া আমার নেই। তবে এবারে পুজোয় আমার ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’ মুক্তি পাচ্ছে। ছবি দেখে দর্শকদের কী রকম প্রতিক্রিয়া হয় সেটা জানার অপেক্ষায় থাকব। তবে এখন আমার কাছে দুর্গাপুজো মানে সারা বছরের কাজের ক্লান্তি থেকে কয়েকটা দিন নিপাট বিশ্রাম নেওয়া।

The post এবার পুজো কীভাবে কাটাবেন মনামী-বিশ্বনাথ-অনির্বাণ? appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement