ভোজনরসিক বাঙালির পুজো মানেই পেটপুজো। আর সেই রসনা তৃপ্ত হলে, উদর ‘বাবাজি’র থেকে বেশি খুশি বোধহয় আর কেউ হন না! উৎসবের প্রহর দুয়ারে কড়া নাড়লেই আনন্দের স্বাদ আরও বেশি করে চেটেপুটে নিতে চায় মন। সারা বছর অফিস-বাড়ি সামলে বিশেষ কিছু রান্না করার সুযোগ হয় না। পুজোর দিনগুলোয় পরিবারের জন্য রান্না নিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করবেন ভাবছেন? ষষ্ঠী থেকে দশমী জমজমাট মেনুকার্ড-এর জন্য চোখ রাখুন সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এ। ‘উৎসব-এর উদরপূর্তি’তে আজকের পদ রাঁধুনি রুই।
কী কী লাগবে?
রুই মাছ ৬-৮ পিস পেটি ও গাদা মিলিয়ে মিশিয়ে
বড়ি ৮-১০টা
আলু ডুমো করে কাটা দুটো
রাঁধুনি জলে ধুয়ে ভিজিয়ে রেখে বাটা ২ চা-চামচ
সরষের তেল প্রয়োজনমতো
কালোজিরে ফোড়নের জন্য
কাঁচালঙ্কা চিরে রাখা তিন-চারটে
হলুদ-লঙ্কা-জিরে গুঁড়ো সবমিলিয়ে তিন চা-চামচ
নুন স্বাদমতো
[আরও পড়ুন: গন্ধরাজ ভেটকি ফ্রাই থেকে মণিহারি মাংস, পুজোয় বাঙালির পাতে বাংলার স্বাদ আনছে আহেলি]
পদ্ধতি
মাছে নুন-হলুদ মাখিয়ে মিনিট পনেরো রেখে দিন। কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে ডুমো করে কেটে রাখা আলুর টুকরো ভেজে তুলে নিন। একই তেলে বড়িগুলো ভেজে তুলে নিন। এবার কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে মাছ ভেজে নিন। বাকি তেলে কালোজিরে ও কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন। এবার একটা পাত্রে অল্প জল নিয়ে গুঁড়ো মশলা গুলে নিয়ে তেলে দিন। স্বাদমতো নুন দিন। যতক্ষণ না তেল ছেড়ে আসে নাড়াচাড়া করুন।
এবার রাঁধুনি বাটা দিয়ে কষে নিন। এরপর পরিমাণমতো জল দিয়ে নুন চেখে দেখে নিন। জলে ফুট ধরলে আলুর টুকরো দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক। আলু সিদ্ধ হয়ে এলে মাছ ও বড়ি দিয়ে ঢেকে রাখুন আরও পাঁচ মিনিট। আঁচ নিভিয়ে গরম সাদা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। টানা তিন-চারদিন গুরুপাকের মাঝে সপ্তমীর দুপুরে হালকা খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এই রেসিপি ট্রাই করে দেখতে পারেন। চাইলে রান্নাটি কাতলা মাছ দিয়েও করা যেতে পারে।