সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি। নতুন পেনশন প্রকল্প। ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিলে ছাড়। আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় আসার পর পাঞ্জাবের রাজকোষের উপর চাপ বেড়েই চলেছে। অথচ আয় বাড়েনি। যার ফলে চরমে পাঞ্জাবের (Punjab) আর্থিক সংকট। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে।
সূত্রের খবর, আগস্ট মাসের বেতন বুধবার দুপুর পর্যন্ত পাননি পাঞ্জাবের সরকারি কর্মীরা। এমনিতে মাস পয়লাতেই বেতন পান পাঞ্জাব সরকারের কর্মীরা। কিন্তু আগস্ট মাসে সেটা ৭ তারিখেও মেলেনি। কেন মেলেনি বেতন? সূত্রের খবর, কর্মীদের বেতন দেওয়ার মতো অর্থ নেই পাঞ্জাবের রাজকোষে। কর্মীদের এক মাসের বেতনের জন্য প্রায় ২ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা খরচ হয় পাঞ্জাব সরকারের। কিন্তু সেটা এখনও জোগাড় হয়নি।
[আরও পড়ুন: চার অর্থবর্ষে রাজ্যের দেনা কমেছে ৩ শতাংশ! ঋণের বোঝা কমিয়ে ভারতসেরা বাংলা]
পাঞ্জাবের আর্থিক সংকট নতুন নয়। একসময়ের শস্যশ্যামলা এই রাজ্যটি গত ১০-১৫ বছর ধরেই আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বেতন দিতে না পারার মতো পরিস্থিতি এই প্রথম। আসলে পাঞ্জাবের আপ (AAP) সরকার শুধু রাজকোষের উপর চাপই বাড়িয়েছে। রাজ্যের রোজগার বাড়েনি। উলটে কেন্দ্র সরকার জিএটির (GST) ক্ষতিপূরণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় রোজগার কমেছে। পাঞ্জাব সরকার এই খাতে কেন্দ্রের কাছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা পায়। সেটাও এ মাসে আসেনি। যা সংকট আরও বাড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তায় বাধা, নাবালিকার মুখে অ্যাসিড ঢেলে গলা কাটল অভিযুক্ত]
যদিও পাঞ্জাব সরকারের দাবি, কোনও অর্থসংকট তৈরি হয়নি। বুধবারের মধ্যে সব সরকারি কর্মীরা বেতন পেয়ে যাবেন। পাঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে বেতন হচ্ছে। এ মাসের শুরুতে নতুন ১৮ হাজার কর্মী নিয়োগ হয়েছে। তাই বেতন ঢুকতে দেরি হচ্ছে। তবে বুধবার সকলের বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, পাঞ্জাব সরকার যতই মানতে না চাক, পাঞ্জাবে যে অর্থসংকট চলছে সেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই।