সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের প্রতিরক্ষা বিভাগের মহিলা কর্মকর্তা মারিনা ইয়াঙ্কিনার (Marina Yankina) অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। সেন্ট পিটার্সবার্গে এক বিল্ডিংয়ের ১৬ তলার জানলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর বলে খবর।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে মারিনার কাজ ছিল মূলত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার লড়াইয়ের জন্য দেশের হয়ে দ্রুতগতিতে তহবিলের ব্যবস্থা করা। সেই মারিনার দেহ সেন্ট পিটার্সবার্গের জামশিনা স্ট্রিটে পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। জানা গিয়েছে, ১৬০ ফুট উঁচু থেকে পড়েই তিনি প্রাণ হারান। কিন্তু কীভাবে জানলা থেকে পড়ে গেলেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই মারিনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রাশিয়ান তদন্তকারী কমিটি এবং ওয়েস্টার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের সংবাদমাধ্যম। তাঁর মৃত্যুর নেপথ্য কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্তও।
[আরও পড়ুন: ৬০ ঘণ্টার ‘সমীক্ষা’ শেষে বিবিসির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ আয়কর বিভাগের]
জানা গিয়েছে, নিজের প্রাক্তন স্বামীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মারিনা। তিনি কী করতে চলেছেন এবং তিনি কী কী রেখে যাচ্ছেন, এই সমস্ত তথ্যও তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে নাকি জানিয়েছিলেন। এমনকী পুলিশকেও খবর দিতে বলেছিলেন মারিনা। তার কয়েক মিনিট পরই ১৬ তলা থেকে পড়ে প্রাণ হারান মারিনা। আর এই কারণেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের আবার দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন মারিনা। প্রসঙ্গত, এর আগেও পুতিনের একাধিক কর্মকর্তার সন্দেহজনক অবস্থায় মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল।
প্রতিরক্ষা বিভাগে যোগ দেওয়ার আগে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের কর্মী ছিলেন মারিনা। এছাড়াও প্রপার্টি রিলেশনস কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সেনাকে শক্তিশালী করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগাড় করতে সফল হয়েছিলেন তিনি। তাই তাঁর মৃত্যু পুতিনের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।