shono
Advertisement

রেগে ফোন ধরছিলেন না পুতিন, ‘যুদ্ধ থামাতে’রাশিয়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন গুতেরেস।
Posted: 09:28 AM Apr 23, 2022Updated: 09:28 AM Apr 23, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ নিন্দায় সরব গোটা বিশ্ব। রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেসও স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন যে, আগ্রাসন চালিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সনদের অবমাননা করেছে রাশিয়া। তারপর থেকেই গুতেরেসের ফোন ধরছিলেন না ক্ষিপ্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এহেন পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে মস্কো যাচ্ছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান বলে খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মারিওপোল ‘মুক্ত’, উচ্ছ্বসিত পুতিন, তবে কি অস্ত্র ফেলে দিল ইউক্রেনের ফৌজ?]

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, আগামী সোমবার মস্কো যাচ্ছেন অ্যান্তনিও গুতেরেস। সেখানে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের মুখপাত্র এরি কানেকো জানিয়েছেন, রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে আহারপর্ব ও বৈঠকে শামিল হবেন গুতেরেস। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, গুতেরেসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। আগামী মঙ্গলবার এই বৈঠক হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, মস্কোর পর কিয়েভের উদ্দেশে রওনা দেবেন গুতেরেস। সেখানে আগামী বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপরই আমেরিকা ও পশ্চিমের দেশগুলি উদ্যোগে রাষ্ট্রসংঘে একাধিক নিন্দা প্রস্তাব পেশ হয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেসও স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন যে, আগ্রাসন চালিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সনদের অবমাননা করেছে রাশিয়া। তারপর থেকেই গুতেরেসের ফোন ধরছিলেন না পুতিন। এহেন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে চেয়ে পুতিনকে চিঠি পাঠান গুতেরেস। ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি বলে খবর। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ রাষ্ট্রসংঘের অস্তিত্বের ক্ষেত্রেও আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এই যুদ্ধ নিয়ে পাঁচ সদস্যেরর নিরাপত্তা পরিষদ দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একদিকে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। অন্যদিকে, রাশিয়া ও চিন।

উল্লেখ্য, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের (UN) ভূমিকার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাশিয়া কারও কথাতেই ভ্রূক্ষেপ করেনি। ফলে বাড়ছে আতঙ্ক। সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষই ইউক্রেনের অসহায় নাগরিকদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন। এমনকী রাশিয়াতেই রাজপথে নেমেছে যুদ্ধের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা জনতা। তবু রাষ্ট্রসংঘ কেবল আরজির পথেই রয়েছে। অর্থসাহায্য়ের ঘোষণা করলেও রাশিয়াকে রুখতে না পারায় প্রশ্ন উঠছে বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা ও প্রভাব নিয়েও।

[আরও পড়ুন: কত উপহার পেয়েছেন ইমরান? তালিকা প্রকাশ করা হোক, নির্দেশ পাক আদালতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement